প্রতিকি চিত্র
মাঝে আর মাত্র ক’টা দিন। পুজোর সাজের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই হয়তো সারা। কিন্তু আরও একটা প্রস্তুতিও যে জরুরি! ঠাকুর দেখার প্রস্তুতি। সারা দিন ঘুরে ঠাকুর দেখুন, কিংবা রাতভর– কিছু গ্যাজেট সঙ্গে থাকলে অনেক সহজ হয়ে যায় সব কিছু। বিশেষত যাঁরা এ সময়টায় আশ মিটিয়ে ছবি তুলতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য তো বটেই। রইল তেমনই কিছু সরঞ্জামের তালিকা।
পাওয়ার ব্যাঙ্ক: পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরোলে হাতে ফোন সব সময়েই থাকে। অন্যান্য দিনের তুলনায় এ সময়ে ফোনের ব্যবহারও হয় বেশি। যেমন ফোনে ছবি তোলা, ভিডিও করা, বন্ধুদের ফোন করা। আবার ভিড়ে দলছুট হয়ে গেলেও দরকার ফোনের। ফলে এক বার যদি তার ব্যাটারি শেষ হয়ে যায়, ভীষণ সমস্যায় পড়তে হয়। এই ধরনের বিপদ এড়াতে সঙ্গে রাখতে পারেন একটি ভাল মানের ১০,০০০ এমএএইচ-এর পাওয়ার ব্যাঙ্ক।
ডিজিটাল ক্যামেরা: ইদানীং মোবাইলে ভাল ছবি ওঠে ঠিকই। কিন্তু উচ্চ মানের ছবি তুলতে চাই ডিজিটাল ক্যামেরা। শুধু বন্ধুদের বা নিজের ছবি নয়, প্রতিমার এবং প্যান্ডেলের নিখুঁত ছবি চাইলে ভাল একটা ডিজিটাল ক্যামেরা সঙ্গে রাখুন।
হেডফোন: ঠাকুর দেখতে বেরোলে হেডফোন, বিশেষত ব্লুটুথ হেডফোন খুবই উপকারী। কারণ ভিড়ের মাঝে ফোন এলে মোবাইল বার না করেও অনায়াসে কথা বলে নিতে পারবেন। তা ছাড়া, হেডফোন কিন্তু এখন ফ্যাশনেরও অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে!
মেমরি কার্ড: ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে দেদার ছবি আর ভিডিয়ো তুলতে তুলতে ফোনের মেমরি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে আসে। হয়তো দেখা গেল মণ্ডপে কোনও লাইভ অনুষ্ঠান বা বিশেষ কোনও মুহূর্ত ধরে রাখার সময়ে তা আচমকা নিঃশেষ। সঙ্গে একটা বাড়তি মেমরি কার্ড রাখুন। মোবাইল বা ক্যামেরা দুয়ের ক্ষেত্রেই। পুরনো ছবি ডিলিট না করেও এ বার ভিডিয়ো করুন মনের আনন্দে।
স্মার্ট ওয়াচ: এখন স্মার্ট ওয়াচ যেমন ফ্যাশনের অঙ্গ, তেমনই হরেক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ঘড়ি। শুধু সময় দেখা নয়, ঠাকুর দেখার ভিড়ে ফোন এলে ঘড়িতেই দেখে নিতে পারেন কে ফোন করেছে। তা থেকে কথা বলতেও পারেন। এ ছাড়া, কতটা হাঁটলেন, হার্টরেট বা রক্তচাপ কেমন– সবই নজরে রাখা যাবে এই ঘড়ির মাধ্যমে।
গিম্বল: সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে রিলস বানানো এখন খুবই জনপ্রিয় ট্রেন্ড। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে যাঁরা রিলস বানাতে চান, তাঁদের খুব কাজে দেবে গিম্বল। ভিড়ে ঠেলাঠেলির মধ্যেও সুন্দর স্টেবিলাইজড ভিডিও বানাতে এটি খুবই উপকারী।
ড্রোন: যাঁরা পেশাদার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ড্রোন ব্যবহার করে উপর থেকে পূজা মণ্ডপের দৃশ্য বা ভিড়ে ঠাসা পথের ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে পারেন। এই ধরনের দৃশ্য আপনার তৈরি কনটেন্টকে সুদৃশ্য করে তুলতে পারে।
রিফ্লেক্টের: ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তুলবেন? আলো নিয়ন্ত্রণে একটি রিফ্লেক্টর অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন। এতে ছবির মান বাড়বে অনেকটাই।
মোবাইল লেন্স: ভাল ক্যামেরা বা ফোন কেনা সামর্থ্যের মধ্যে না থাকলে মোবাইল লেন্স হতে পারে মুশকিল আসান। এটি আপনার মোবাইল ক্যামেরাকে উন্নত করে দেবে।
বাইক মোবাইল মাউন্ট: পুজোয় অনেকেই মোটরবাইকে ঠাকুর দেখতে যান। পকেট থেকে বার বার ফোন বার করে কথা বলা সম্ভব হয় না সে ক্ষেত্রে। বা গুগল ম্যাপ দেখে পথের হদিশ করাটাও কঠিন হয়। বাইকে লাগিয়ে নিতে পারেন একটি মোবাইল মাউন্ট। সমস্যা মিটবে অনেকটাই।
ট্রাইপড: যাঁরা ছবি তুলতে ভালবাসেন, পোর্টেবল ট্রাইপড রাখতে পারেন সঙ্গে। সুন্দর এবং স্থির ভিডিও বা ছবি তোলার জন্য এটি খুব কার্যকরী।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।