প্রতি মুহূর্ত হয়ে উঠুক সুখস্মৃতির এক একটি উপাদান- এমন ইচ্ছে পোষণ করেন সব মানুষই। আর সেটা সম্ভব মুহূর্তগুলোকে ক্যামেরাবন্দি করে রাখলে। বেড়াতে গিয়েই হোক বা প্রিয় কারওর সঙ্গে হঠাৎ দেখা- সেই স্মৃতিগুলো চিরকালের মতো ধরে রাখতে তাই আমরা ছবি তুলি।
একটা সময় ছিল, যখন একটা ঢাউস ক্যামেরায় ছবি তুলে, সেটার মধ্যে থাকা ফিল্মকে ডেভেলপ করে প্রিন্ট করতে হত। তার পরে এল চিপ। ক্যামেরার চিপ থেকে কম্প্যুটারে ছবির ফাইল নিয়ে প্রিন্ট করাতে হয়। সেই যুগও এখন পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে সময়। হাতের মোবাইল ফোনের ক্যামেরাতেই ধরে রাখা যাচ্ছে সুখস্মৃতি। কিন্তু মোবাইলে রাখা সেই সব ছবির চাপে ফোন মেমরি ভরে যায়। যন্ত্রের পাগলামিতে ডিলিটও হয়ে যেতে পারে সব। এই সমস্যা থেকেই এ বার রেহাই। কারণ, হাতের নাগালে এসে গিয়েছে একেবারে ছোট্ট, পোর্টেবল স্মার্টফোন ফোটো প্রিন্টার।
যেখানে খুশি নিয়ে যাওয়া যায়। তারবিহীন হওয়াতে ঝামেলাও কম। ফোনের ছবি নিমেষে বেরিয়ে আসবে প্রিন্ট হয়ে। খুদে এই প্রিন্টারগুলির মধ্যে থাকে ব্যাটারি। আকার এতই ছোট যে, ব্যাগে দিব্যি নিয়ে নেওয়া যাবে। বেশ কিছু প্রিন্টার আছে, যেগুলিতে আলাদা করে কালি ভরতে হয় না, কার্ট্রিজ থাকে। এই প্রত্যেকটি প্রিন্টার নিজস্ব অ্যাপ নির্ভর। মোবাইল ফোনে প্রিন্টারের অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। তা হলে খুব সহজেই সঙ্গে সঙ্গে প্রিন্ট করিয়ে ফেলতে পারবেন ফোনে তোলা প্রয়োজনীয় ছবি।
আরও পড়ুন: হ্যান্ড মিক্সার কিনুন মেটাল বডির হালকা ওজনের
আরও পড়ুন: দূর থেকেও একাকী বাবা-মায়ের দেখভালে বন্ধু হতে পারে সিসি ক্যামেরা
ফোনের ছবি নিমেষে বেরিয়ে আসবে প্রিন্ট হয়ে।
একটু কম দামের প্রিন্টারে সর্বাধিক ২৫টি ছবি এক বারে প্রিন্ট করা যায়। গ্লসি প্রিন্ট পাবেন, একেবারে ঝকঝকে। দামের বিষয়টা একটু হলেও ভাবতে হবে। ভাল ব্র্যান্ডের মোবাইল প্রিন্টার ১৫ হাজার থেকে শুরু। বাজেট বাড়লে প্রিন্টারও তত ভাল হবে।
বেশির ভাগ পোর্টেবল স্মার্টফোন প্রিন্টার অনলাইনেই পাওয়া যায়। কেনার আগে গুগলে রেটিং দেখে নেবেন। আর পড়ে নিন ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতার কথা। কয়েকটি ব্র্যান্ডের নাম জানিয়ে রাখি। এইচপি, কোডাক, ফুজি, পোলারয়েড বা এলজি-র প্রিন্টার কিনতে পারেন।