করোনার আবর্তে আগামী দিনে অনেক কিছুই হয়তো দূরভাষ নির্ভর হয়ে পড়বে। গত কয়েক মাসের অভিজ্ঞতায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটাকে কতটা জীবনের অঙ্গ হিসেবে জড়িয়ে নিতে পারা যায়, সেটা শিখে নিয়েছি আমরা। জীবনের সব ক’টি ক্ষেত্রই এখন আমাদের মোবাইল নয়তো বা ল্যাপটপ নির্ভর হয়ে উঠেছে। ডেস্কটপের কথাও এ ক্ষেত্রে বলতেই হবে। তবে সাধারণ মানুষের কাছে নিদেনপক্ষে একটা মোবাইল ফোন থাকতেই হবে।
যেমন ছাত্রছাত্রীরা এখন পুরোটাই নির্ভরশীল এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উপর। কেননা ই-লার্নিং বলুন বা ভার্চুয়াল লার্নিং, সবেতেই দরকার একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে আমাদের কাছে নিয়ে আসার মধ্যম বা সাপোর্টিং ডিভাইস। এখনও বহু ছাত্রছাত্রী হয় তার বাবা, নয়তো মায়ের মোবাইল ফোন নিয়ে পড়াশোনা করছে।
কিন্তু অন্য দিকে মা বা বাবার কাছে ওই মোবাইলটি অতি প্রয়োজনীয়, তাঁরাও অনেকটাই এ কারণে নিরুপায় হয়ে পড়ছেন। অনেকেই চাইছেন একটা মোবাইল ফোন অন্তত বাড়ির সন্তানের হাতে তুলে দিতে। কেননা এটাও ওই শিক্ষার্থীর কাছে অতি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে এই সময়ে। আর যাঁদের এই মুহূর্তে একটি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কেনার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই, তাঁরাও তাঁদের সন্তানের জন্য একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন কেনার কথা চিন্তা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: পুরনো টিভি এ বার স্মার্ট, লাগবে শুধু একটা স্টিক!
একেবারে সাধারণ মোবাইল কিনতে গেলে তাতে দেখে নিতে হবে কয়েকটি বিষয়:
১) এখন জুম অথবা গুগল মিট-এর মাধ্যমে অধিকাংশ ভার্চুয়াল ক্লাস হচ্ছে। এগুলিতে ৪জি ইন্টারনেট থাকলে ভাল হয়। তাই যে ফোনগুলি ৪জি সাপোর্ট করবে সেই ধরনের ফোন কিনুন।
২) ফোনটি যেন অ্যানড্রয়েড হয়।
৩) শিক্ষার্থীকে তার স্কুল বা টিউশন থেকে বহু নথি পাঠায়, সেগুলি সবই ফোনে স্টোর হয়। তাই বেশি স্টোর করা যাবে এমন ফোন খুঁজবেন। খুব কম হলে ৬৪ জিবি, আর বেশি হলে ১২৮ জিবি। তাতে ফোন স্টোরেজ ফুল হয়ে যাওয়ার কারণে হ্যাং করবে না।
৪) ব্যাটারি বেশি ক্ষণ চলবে এমন ফোন নেবেন। ৫০০০ এমএএইচ হলে ভাল হয়।
৫) ডিসপ্লে স্ক্রিনটা নিদেনপক্ষে এইচডি হলে ভাল, তবে ৪কে হলে খুব ভাল।
৬) প্রসেসর-এর উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। এখন মোটামুটি সব ফোনেই অক্টাকোর প্রসেসর থাকে। এই প্রসেসর খুঁজবেন।
৭) র্যামের ক্ষেত্রে ৮ জিবি হলে খুব ভাল, তবে ৬ জিবি হলেও চলবে।
৮) শিক্ষার্থীকে অনেক কিছুই ছবি তুলে পাঠাতে হয়। তাই এ ক্ষেত্রে ক্যামেরাটাও দেখা জরুরি। যখন ক্লাস চলে তখন অন্য প্রান্তে থাকা শিক্ষক বা শিক্ষিকা ছাত্র বা ছাত্রীটিকেও দেখতে চান। তাই ফ্রন্ট ক্যামেরাটিও দেখে নেওয়াটা খুব জরুরি। একটু বেশি পিক্সেলের ফ্রন্ট ও রেয়ার ক্যামেরা দেখে কিনবেন। সবশেষে বলি, খুব সহজে ব্যবহার করতে পারা যায়, এমন মোবাইল শিক্ষার্থীকে দিন। অবশ্যই ওয়ার্যান্টি, আফটার সেলস সার্ভিস ও সার্ভিস সেন্টারের খোঁজ নিতে ভুলবেন না। এই ধরনের ফোন শুরু ৯ হাজার টাকা থেকে, ১৬ হাজার পর্যন্ত উঠলে বেশ ভাল ফোন পাবেন।
আরও পড়ুন: ‘নিউ নর্মাল’ উৎসবের সঙ্গী ল্যাপটপ, কেনার সময় কী কী খেয়াল রাখবেন
বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড পাওয়া যায়। যেমন,
১। রিয়েলমি সি ১২
২। রেডমি ৯ প্রাইম ও নোট ৯
৩। ওপো এ ৫২
৪। ভিভো ওয়াই ৫০
৫। স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের বেশ কিছু মোবাইল