শাওমি কে-টুয়েন্টি প্রো
যুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন সামনে কারা থাকে? কাদের রাখা উচিত? প্রশ্ন করা হলে আপনি বলবেন, সেরা যোদ্ধাদের। সেটাই করেছে শাওমি। নিয়ে এসেছে নিজেদের সেরা ফোন, টেকনোলজির পরিভাষায় যাকে বলে ফ্ল্যাগশিপ সিরিজ। নতুন সিরিজটির নাম দিয়েছে ‘কে’ সিরিজ। এই সিরিজের প্রথম ফোনটির নাম কে-টুয়েন্টি এবং কে-টুয়েন্টি প্রো।
শাওমি-র জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ দাম। আয়ত্তের মধ্যে ভাল মানের ফোন নিয়ে আসা। তাই দামের ব্যাপারে সব সময় সচেতন শাওমি। কিন্তু এই ফ্ল্যাগশিপ ফোনের ক্ষেত্রে দামের ব্যাপারে কিছুটা হলেও উদার হয়েছে শাওমি। দাম রাখতে হয়েছে কিছুটা উপরে। কারণ, এই ফোনের হার্ডঅয়্যার। শুরু করা যাক ডিসপ্লে দিয়ে।
এই প্রথম নিজেদের ফোনে আমোলেড ডিসপ্লে নিয়ে এল শাওমি। ৬.৩৯ ইঞ্চির এই ফোনে স্ক্রিন ও আকারের অনুপাত ৯১.৯ শতাংশ। এই ফোনে আছে ফুল এইচিডি ডিসপ্লে। এতে থাকছে কর্নিং গোরিলা গ্লাস-৫ এর সুরক্ষা। শুধু সামনের দিকেই নয়, পিছনের দিকেও এই সুরক্ষা ব্যবস্থা করা থাকছে। ফলে প্রতি দিনের ব্যবহারে ফোনে ছোটখাটো আঘাত লাগার আশঙ্কা কম থাকে।
আরও পড়ুন: পুজোয় ব্যবহার করতে পারেন নানা ফিচারে ঠাসা রিয়েলমি-র ফাইভ সিরিজ
এ বার দেখে নেওয়া যাকে ফোনের প্রাণভোমরাকে। এখানে কোনও খামতি রাখেনি শাওমি। ফোনের প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৫৫ এসওসি। কোয়ালকমের একেবারে প্রথম সারির প্রসেসর এটি। সঙ্গে সংস্করণ অনুযায়ী ৮ জিবি আর ৬ জিবির র্যাম। ৮ জিবির র্যামের সঙ্গে ২৫৬ জিবির মেমোরি থাকছে এবং ৬ জিবির র্যামের সঙ্গে ১২৮ জিবির মেমোরি থাকছে। র্যাম ও প্রসেসর মিলিয়ে অন্য সংস্থার সেরা ফোনগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে কে-টোয়েন্টি।
আরও পড়ুন: ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা আনল ভিভো
কে-টোয়েন্টির সঙ্গে তিনটি ক্যামেরা থাকছে। একটি ক্যামেরা ৪৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেন্সর। সঙ্গে ১৩ মেগাপিস্কেলের আল্ট্রাওয়াইড অ্যাঙ্গেল সেন্সর ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেলের টেলি-ফটো সেন্সর ক্যামেরা। তিনটি ক্যামেরার মিলিত চেষ্টায় ওঠা ছবির প্রশংসা শোনা যায় বাজারে। কিন্তু যে ক্যামেরাটির কথা না বললে পুরো আলোচনা অসম্পূর্ণ থাকবে তা হল পপ-আপ সেল্ফি ক্যামেরিটা। এই প্রথম পপ-আপ সেলফি ক্যামেরা ব্যবহার করছে শাওমি। এটি ২০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। এই পপ-আপ ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে ৯১.৯ শতাংশ স্ক্রিন ও আকারের অনুপাত দিতে পেরেছে শাওমি। তবে এই ফোনের ব্যাটারিটি ৪০০০ এমএএইচ-এর। এক বার চার্জ দিলে মোটামুটি এক দিন চলে যায়়। এমনকি, এইচডি ভিডিও চালালেও ব্যাটারি এক দিন কাজ করে যাবে। এই ফোনে এমআইইউআই-১০ অপারেটিং সিস্টেম দিচ্ছে শাওমি। এটি অ্যানড্রয়েড-৯-এর উপরে ভিত্তি করে তৈরি।