মোবাইল তো আছে। তা’ও পুজোর সময় নতুন জামা-কাপড়-জুতোর মতো অনেকে এখন নতুন একটা আধুনিকতম মডেলের মোবাইল কিনতেও ভালোবাসেন। কেনেনও। আর মোবাইলের সঙ্গে সঙ্গে সমার্থক হল হেডফোন।
রাস্তাঘাটে, বাসে-ট্রেনে, অফিসে কাজের ফাঁকে অন্যদের বিরক্তির কারণ না হয়ে মোবাইলে প্রিয়জনের সঙ্গে কথোপকথন বলুন, কিংবা নিজের পছন্দের গান শুনতে একান্তে ভরসার আরেক নাম হল— হেডফোন।
তবে কী, মোবাইল কিনতে সাধারণত ক্রেতা টাকার কার্পণ্য না করলেও, হেডফোনের পিছনে বেশি খরচা করতে সচরাচর চায় না। অনেকটা সেই ঘোড়া কিনব প্রচুর টাকায়, কিন্তু তার চাবুক কিনতে বেশি খরচা করব না! চিন্তাটি কিন্তু খুব সেকেলে।
প্রথমত শারীরিক কারণে। দ্বিতীয়ত, একটা ভাল হেডফোনের শব্দ এতটাই শ্রুতি মধুর ও পরিষ্কার যে, ব্যবহার করলেই বুঝবেন, একটু দাম দিয়ে হেডফোন কেনাটা আখেরে কতটা লাভ দেয়। এখানে ১০০০ টাকার মধ্যে ভারতের ভাল ভাল হেডফোনের সুলুকসন্ধান দিল আনন্দবাজার অনলাইন।
স্কালক্যান্ডি আইএনকেডি: ভাল শব্দ এবং পোক্ত হেডফোন হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় বাজারে। মডেলটিও স্টাইলিশ। গান ও ফোনকল নিয়ন্ত্রণের বাটন-ও অত্যাধুনিক।
হাউজ অব মার্লে স্মাইল জামাইকা- ইএম জেই০৪ এসবি: অডিও ডিভাইস তথা শ্রবণযন্ত্র খুব উচ্চ মানের। স্টাইলিশ দেখতে। বলতে গেলে একটি সমস্যাহীন মডেল।
স্যানাইজার সিএক্স ১৮০: ১০০০ টাকার ভেতরে হেডফোনগুলির মধ্যে এটি সবচেয়ে পুরনো অথচ বিখ্যাত ব্র্যান্ড। এরও অডিও ডিভাইস ভীষণ পোক্ত এবং উন্নত মানের।
জেবিএলসি১৫০এসওয়ান: ভীষণ হালকা মডেলের হেডফোন এটি। ব্যবহার করে দারুণ আরাম পাবেন। স্টাইলিশ দেখতেও।
সোনি এমডিআর- ইএক্স১৪এপি: ছিমছাম এবং হালকা, দু’টোই যাঁরা হেডফোনে চান, তাঁদের জন্য এই মডেলটা আদর্শ। ডিভাইস কিন্তু দারুণ পোক্ত ও আধুনিক।
বোট বেসহেডস ২০০: এককথায় ভালো হেডফোন। ফ্ল্যাট, সিম্পল অথচ স্টাইলিশ। ডিভাইস আধুনিক। ব্যবহারে কোনও সমস্যা নেই।
বোট এয়ারডোপস অ্যাটম: সত্যিকারের তার-হীন ইয়ারফোন তথা হেডফোন। বেশ জনপ্রিয় মডেল।
অ্যাটম এনবি ১১৯: ভারতে এটা এমন একটা মডেলের হেডফোন, যার ব্লুটুথ-কে বাজারে বলা হয়ে থাকে ‘জিনিয়াস ব্লুটুথ’!
বোট বাস হেডস: কালো রঙের ‘১০০ইনইয়ার’ যুক্ত হেডফোন। এই মডেলের হেডফোনের যেটা প্রধান বৈশিষ্ট্য।
জেবিএল সি ১০০ এসআই: এটাও একটা তার অর্থাৎ ওয়্যার বিহীন 'ইন-ইয়ার' হেডফোন। এর ‘বাস্ সাউন্ড’ অত্যন্ত উঁচু মানের। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।