প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তৈরি বাড়ি
সুস্থ ও সঠিক বাসস্থানের স্বপ্ন কে না দেখেন? কিন্তু অর্থের অভাবে সেই স্বপ্ন অনেক সময়েই অধরা থেকে যায়। সেই কারণেই দেশের গরিব মানুষদের সুস্থ বাসস্থান তৈরির লক্ষ্য নিয়েই ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে চালু করা হয় এক অভিনব উদ্যোগ — প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। যে প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই বহু মানুষ মাথার উপরে পাকা ছাদ তৈরি করতে পেরেছেন। সেই পথ ধরেই সম্প্রতি একাধিক রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে আর্জি প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির আর্জি জানায়। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আগামী ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০২৩ সালের বাজেটে অর্থাৎ চলতি বছরেই কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাসন যোজনায় অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়েছে ৬৬ শতাংশ । যদিও এই ক্ষেত্রে পাহাড়ি ও সমতল এলাকায় বাড়ি নির্মাণের খরচের পার্থক্য রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় কোনও সমতল জায়গায় বাড়ি তৈরির জন্য সরকারের তরফ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। অন্য দিকে, পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের দেওয়া হচ্ছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে এখনও এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া নিয়ে বহু মানুষের মনে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে।
কারা নিতে পারবেন এই সুবিধা?
এই যোজনার সুবিধা তাঁরাই নিতে পারবেন, যাঁদের নামে নিজস্ব কোনও পাকা বাড়ি নেই। এই যোজনায় সুবিধা পেতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হয়। আবেদনের পরে সম্পূর্ণ নথিটি পরীক্ষা করা হয়। সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর থাকার জায়গাও পরিদর্শন করতে আসেন সরকারি কর্মকর্তারা। তার পরেই নেওয়া হয় সিদ্ধান্ত। নিজে না পারলে, এলাকার কাউন্সিলর, গ্রাম প্রধান বা গ্রামোন্নয়ন আধিকারিকের সহায়তা নিয়েও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য আবেদন করতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি।
কারা এই পাবেন না?
যাঁদের কাছে বাইক বা গাড়ি রয়েছে, তাঁরা কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা পাবেন না। আবার যদি কোনও ব্যক্তির কাছে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি কিষাণ ক্রেডিট কার্ড থাকে, তবে তারাও এই যোজনার সুবিধা নিতে পারবেন না।
কী ভাবে আবেদন জানাবেন?
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।