Nandini Gangopadhya

বলো বলো দুগ্গা এলো...

উদ্বাস্তু কলোনির পরিত্যক্ত বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বাবা উঠোনে পুঁতেছিলেন গন্ধরাজ, কামিনী আর শিউলি ফুলগাছের চারা। লিখছেন নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায়

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২২ ১৪:৪০
Share:

সেই সব আনন্দের দিন ছবি- নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায়

আশ্বিন মাসে পিতৃপক্ষে দাদুর কণ্ঠে "আব্রহ্ম ভুবনালোকা.." তর্পণ মন্ত্র আর মহালয়ার দিন অরুণোদয়ের প্রাক্কালে মারফি রেডিয়ো থেকে ভেসে আসা "আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে... " শুনে মনের দুন্দুভিতে আঘাত লাগত। ছুটে চলে যেতাম শিউলিতলায় কোচর ভরে ফুল কুড়োতে। বাড়ির সামনের পুকুরের অন্য পাড়ে ভোলা ঢাকি–বাড়িতে তখন মহড়া দিয়ে সারা পাড়াকে জানিয়ে দিত, 'মা আসছেন ।' সব পেয়েছির আসরে খেলতে গিয়ে দূরের কাশবন দেখে আত্মহারা হতাম।

Advertisement

কিশোরীবেলায় ঠাকুমার সঙ্গে পূজোর ভোগের আয়োজন করতাম। বয়স যখন তেইশ, মহানগরী ছেড়ে চলে এলাম শিল্পনগরীতে, সেখানেও পূজোর জোগার করতাম। কোয়ার্টারের শিউলি ফুল তুলে মালা গেঁথে মাকে নিবেদন করে কত আনন্দই না পেয়েছি। আজ প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে সবই কেবল স্মৃতি– যা সততই সুখের।

Advertisement

এই প্রতিবেদনটি আনন্দ উৎসব ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement