প্রতীকী ছবি
ডিজিটাল বিকিকিনির যুগ এখন। পকেটে যত না টাকা থাকে, তার থেকে বেশি থাকে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড। পুজো প্রায় এসে গিয়েছে। এ দিকে, ব্যস্ততার জেরে কেনাকাটাও সারা হয়নি। এই অবস্থায় ভরসা অনলাইন শপিং।
ধরা যাক, তাড়াহুড়োয় কেনাকাটা সেরে অনলাইনে দাম মেটালেন। কিন্তু তাতে এমন কিছু ভুল করে বসলেন, যার ফলে আপনার অ্যাকাউন্টের সব তথ্য চলে গেল প্রতারকের হাতে। এবং এর কিছুক্ষণ পরেই দেখলেন অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার অজান্তেই কেটে নেওয়া হয়েছে টাকা। কী করবেন? ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে টাকা মেটানোর আগে তাই অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
কোনও সাইটে যদি আগে থেকে আপনার কার্ডের সব তথ্য সেভ করা থাকে, তা হলে অবশ্যই সেগুলি মুছে ফেলুন। প্রতি বার ব্যবহারের পরেই তা মুছে ফেলা প্রয়োজন। যদি চান, আপনার কার্ডের তথ্য সেভ না হোক, তা হলে টাকা পেমেন্ট করার সময় একটি অপশন আপনাকে টিক অফ করে দিতে হবে।
অচেনা কোনও সাইটে টাকা মেটানোর আগে সেখানে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে নিতে পারেন। এখন প্রচুর ভুয়ো সাইট তৈরি হয়েছে। যেখানে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, অনলাইনে পেমেন্ট ছাড়া কেনাকাটার করার সুযোগ নেই। সেই মতো অনলাইনে পেমেন্ট করে ফেলার পরেই সেই সাইটের কাস্টমার কেয়ারে আর যোগাযোগ করতে পারছেন না। তাই আগেই একবার কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে যাচাই করে নেওয়া ভাল।
অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ে গিয়ে আপনি যদি নিজের টাকা লেনদেনের সীমা বেঁধে দেন, তা হলে কার্ডের তথ্য চুরি হলেও একসঙ্গে বেশি টাকা তুলে ফেলতে পারবে না প্রতারকেরা। তবে,ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে খরচের ঊর্ধ্বসীমা বেশি না রাখার চেষ্টা করতে পারেন।
অচেনা বিক্রেতার সঙ্গে কোনও রকম টাকার লেনদেন না করাই ভাল। তার চেয়ে চেনা বা জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা করা বেশি সুরক্ষিত।
পুজোর আগে বিভিন্ন সাইটে প্রচুর ছাড় দেয়। সেই সুযোগেই অনেক ভুয়ো সাইট জাল লিঙ্ক তৈরি করে ভুয়ো প্রচার করে। সেই ফাঁদে পা দিলেই ব্যস! কী ভাবে প্রতারকদের হাতে আপনার অ্যাকাউন্টের সব তথ্য চলে যাবে, আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না। তাই অযথা অচেনা লিঙ্কে ক্লিক না করাই ভাল।
ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ডের পিন এবং ইউপিআই এর পিন কারও সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া উচিত নয়। একইসঙ্গে এই পিন গুলি লিখে রাখা বা এই সংক্রান্ত তথ্যও ফোনে রাখা ঠিক নয়।
অনলাইন কেনাকাটায় তাই সুবিধা যেমন রয়েছে, তেমনই ঝুঁকিও বিস্তর। তাই অনলাইনে টাকা মেটানোর ক্ষেত্রে সব সময়ে বাড়তি সাবধান হওয়াই ভাল।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।