পুজো আসছে। এই সময় সারা শহর সেজে উঠবে। আপনিও হয়তো পরিষ্কার করে সাজিয়ে গুছিয়ে তুলবেন আপনার বাড়িকে। বিশেষ করে এই করোনা পরিস্থিতিতে তো পরিষ্কার পরিছন্ন থাকাটা আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। বাড়িতে ঢুকেই আমরা আগে নিজেদেরকে জীবাণুমুক্ত করার দিকে মন দিই। কিন্তু এতো গেল ঘরের কথা।
শুধু ঘর পরিষ্কার করলেই তো আর হলো না। নিজের বাড়ির চারপাশটাও পরিষ্কার পরিছন্ন থাকা খুব জরুরি। নাহলে আপনার বাড়ি যদি পরিষ্কার ও থাকে তাতে কোনও লাভ নেই। আপনার বাড়ির চারপাশ এই থাকতে পারে জীবাণুর আঁতুড় ঘর। যা কিন্তু প্রভাব ফেলবে আপনার স্বাস্থের উপর। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হোন। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখতে খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলিতে।
- বাড়ির চারপাশে যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলবেন না। বাড়ির আবর্জনা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জড়ো করে রেখে দিন। ও পরের দিন জঞ্জালের গাড়িতে ফেলে দিন। এতে আপনার বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার থাকবে ও বাড়িতেও নোংরা থাকবে না।
- প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার কমান। প্লাস্টিক ব্যাগ পরিবেশের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। এগুলি কোনও দিন নষ্ট হয় না। পরিবেশে আপনার বাড়ির আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়। ও পরিবেশ দূষিত করে। এমনকি এই প্লাস্টিক নর্দমার মুখে আটকে নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি করে।
- বাড়ির আশেপাশে পুকুর থাকলে তা নিয়মিত সময়ের অন্তরে পরিষ্কার করানোর ব্যবস্থা করুন। নাহলে সেখানে জন্মানো কচুরিপানা আপনার বাড়ির চারপাশের পরিবেশকে নোংরা করে। প্রয়োজনে জলে চুন দেওয়ান।
- খেয়াল রাখুন যাতে বাড়ির চারপাশে কোথাও যেন জমা জল না থাকে। নাহলে সেখানে জন্মানো মশা থেকে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার হতে পারে।
- বাড়ির আশেপাশে যদি থাকে কোনও হাসপাতাল তাহলে করোনার ও অনান্য জীবাণুর থাবা থেকে বাঁচতে বাড়ির চারপাশে নিয়মিত সময়ের অন্তরে ব্লিচিং পাউদার বা কিটনাশক ছড়ানোর ব্যবস্থা করুন।
- বাড়িতে করাতে পারেন জীবাণুনাশক রং। যা আপনার বাড়িকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করবে।
- বায়ু দূষণ থেকে বাঁচতে বাড়ির আশেপাশে গাছ লাগাতে পারেন। এতে চারপাশের আবহাওয়া ভাল থাকবে।
তবে মাথায় রাখবেন আমরা যদি একাই শুধু নিজের বাড়ির চারপাশটা পরিষ্কার করি, তাহলে কিন্তু কোনও লাভ নেই। নিজের সঙ্গে এলাকার লোকেদেরও সচেতন করে তুলুন। একটি সুস্থ সমাজই পারে সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।