প্রস্তুতি পর্ব
শহর থেকে শহরতলি চারিদিকে এখন থিম পুজোর রমরমা। সব পুজোর কর্মকর্তারা এখন থিমের দিকে বেশি ঝুঁকছে। থিমের পুজো খারাপ হয়, এ কথা বলা যাবে না। এতে আবার অনেক শিল্পীর কর্মসংস্থানও হয়। তবে পুজোর যে সাবেকিয়ানা তা হারিয়ে যায় এই থিম-পুজোয়। এ বার কিন্তু এই হারানো সাবেকিয়ানাকে তুলে ধরছে সল্টলেক বিই ব্লকের সর্বজনীন পুজো।
১৯৭৮ সালে শুরু হয়ে এই বছরে ৪০ বছরে পড়ল এই পুজো। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সল্টলেকের সেক্টর ১ বিই পশ্চিমের সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোর অন্যতম আর্কষণ হচ্ছে, বাঙালির ঐতিহ্য। মন্ডপ থেকে শুরু করে প্রতিমা সব কিছুতেই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য সাবেকিয়ানাকে তুলে ধরা।
মন্ডপ সাজানোর জন্য বিভিন্ন চিত্রপট তৈরি করা হচ্ছে। বেশিরভাগ বড় পুজো থিমের দিকে সরে যাচ্ছে শুধু মণ্ডপ নয়, প্রতিমাতেও বদল আনা হচ্ছে। ঠিক সেই জায়গা থেকে এই সর্বজনীনের ভাবনা বাঙালিয়ানার সনাতনী জায়গাটিকে তুলে ধরা। নাম দেওয়া হয়েছে বাঙালিয়ানা বনেদিয়ানা সবেকিয়ানা, সব এক সঙ্গে এক চালাতেই!
ক্লাবের সমন্বয়ক ও আহবায়ক কৌশিক ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘বাঙালির সাবেকিয়ানার মধ্যে অনেক কিছুই আছে। তাঁর মধ্যে সাহিত্য, বাংলার জমিদারি, বিভিন্ন চিত্রণও রয়েছে। আমরা এই বারের পুজোয় এ গুলিই তুলে ধরব আমাদের পুজোয়।’
মণ্ডপসজ্জায় রয়েছেন- ঈশিতা ঘোষ
প্রতিমা তৈরি করছে- সনাতন রুদ্র পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।