পুজোর শুরু হয়েছিল ১৯৬৯ সালে, আজ থেকে প্রায় ৪৫ বছর আগে। এ বছরে এদের থিম ‘অন্তর্লীন’। আমিত্ব বর্জনের আহ্বানের ডাক দিয়েই এই ভাবনা।
গত তিন বছরে অতিমারি যা শিক্ষা দিয়েছে সকলকে সেখান থেকে আমিত্ব ঝেড়ে ফেলে নতুন পথ চলা শুরু করাটাই সব থেকে শ্রেয়।
৪৫-তম বর্ষে এই অভিনব ভাবনাই হল 'অন্তর্লীন'-এর মূল বিষয়বস্তু। পরিবেশ সচেতনতা ও দূষণের কথা মাথায় রেখে অভিনব ভাবনায় মূলত মাটি, খড়, বাঁশ দিয়ে মন্ডপ তৈরির কাজ চলছে।
খুব সাধারণ ছিমছাম ভাবেই থাকছে মায়ের রূপ। যেখানে অলঙ্কারে চাকচিক্য অনেকটাই ফিকে তার বদলে মা দেবী রূপে পূজিত হচ্ছেন অত্যন্ত সাধারণভাবে। পরণে কেবল একটি সুতির ছাপা শাড়ি। গলায় একটি রুদ্রাক্ষের মালা।
পুজোর উপদেষ্টা সমিতির সদস্য অয়ন সেনের কথায়, ‘‘আমরা প্রত্যেক বছরেই থিমের মাধ্যমে একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করি। তার সঙ্গে সঙ্গে মণ্ডপ সজ্জাতেও আমরা সব সময় পরিবেশ বান্ধব জিনিস ব্যবহার করি। এ বারেও তার অন্যথা নেই।’’
কী ভাবে যাবেন?
খড়গপুর রেল স্টেশন থেকে বেরিয়ে রেলওয়ে বিএনআর গার্ডেনের দিকে যেতে হবে। বিএনআর গার্ডেনের পাশেই রয়েছে পুজা মণ্ডপ।
থিম- অন্তর্লীন
থিম শিল্পী- কৃষ্ণেন্দু সরকার এবং অয়ন সেন
প্রতিমা শিল্পী- বিভূতি ভূষণ মাইতি
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।