অজেয় সংহতির প্রতিমা
জন্মসূত্রে পাওয়া দৃষ্টি দেখতে শেখায় বহির্জগত। কিন্তু অন্তর্দৃষ্টি? তা দিয়ে বুঝে নেওয়া যায় মনের অগোচরে ঘটে চলা নানা দোলাচল। এই অন্তর্দৃষ্টিই হল ঈক্ষণ, যা দিয়ে ছোঁয়া যায় ঈশ্বরকেও। হরিদেবপুরের পুজো অজেয় সংহতির এ বারের থিম সেই ‘ঈক্ষণ’কে ঘিরেই।
আনন্দবাজার অনলাইনকে শিল্পী দীপ দাস বলেন, “ঈক্ষণ কোনও সাধারণ দৃষ্টি নয়। বাংলার প্রাচীন সাহিত্য মনসামঙ্গলে প্রথম ঈক্ষণের পরিচয় মেলে। মনসা সেখানে নেতিবাচক এক চরিত্র, দুর্গার সঙ্গে যার ঘোর বিবাদ। কিন্তু আমরা নিজেরা অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখার চেষ্টা করি না। তাই বুঝতে পারি না আসলে দেবীর একই অঙ্গে অনেক রূপ। মনসামঙ্গলের শেষ ভাগে দুর্গা মনসাকে দেখান, ভগবতী ও দুর্গা আসলে একই অঙ্গে দুই রূপ। এই যে মানুষ দ্বৈতবাদে বিশ্বাস করে, সে-ই ঈক্ষণ হলে বুঝতে পারে ঈশ্বর এক ও অবিনশ্বর। এখনকার ক্ষয়িষ্ণু সমাজে, টালমাটাল পরিস্থিতিতে মানুষের এই বোধ জাগ্রত হওয়া খুব জরুরি। তাই এ সময়ে দাঁড়িয়ে এমন একটি থিম বেছে নিয়েছি।”
অজেয় সংহতি ক্লাবের কাছেই রয়েছে একটি সুপ্রাচীন মনসা মন্দির। স্থানীয় মানুষের বিশ্বাসে জড়িয়ে রয়েছে মনসামঙ্গলের উপাখ্যান। লোকসংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাটি, গাছ, নৌকা ইত্যাদি উপাদানে ‘ঈক্ষণ’-এর পরিবেশনা হবে অজেয় সংহতি ক্লাবে।
কী ভাবে যাবেন?
হরিদেবপুর অজেয় সংহতি ক্লাব টালিগঞ্জ সঙ্গীত রিসার্চ অ্যাকাডেমির একদম কাছেই। মেট্রোয় টালিগঞ্জ স্টেশনে নেমে হেঁটে বা অটোয় হরিদেবপুর যেতে হবে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।