ফ্রান্সের এক ডাক পিয়োন ফার্দিনান্দ সেভাল। নিজের স্বপ্নের রাজপ্রসাদ নিজের হাতেই বানিয়েছিলেন। নিজের কোনও পুঁথিগত শিক্ষা তার ছিল না। পিয়োনের কাজ করে রাজপ্রাসাদ বানানোও সহজ ছিল না।
পাথর কুড়িয়ে নিজেই ৩৩ বছর ধরে তৈরি করে ‘আইডিয়াল প্যালেস’। এই আইডিয়াল প্যালেসকে নিজেদের পুজোতে তুলে ধরছে চুঁচুড়ার পঞ্চাননতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।
১৯৯৪ সালে পুজো শুরু করে এই ক্লাব। এই বছর তাঁদের ৩০তম বর্ষ। ফ্রান্সের আইডিয়াল প্যালেস তৈরি করা হচ্ছে এখানে। পুজো মণ্ডপ বানানো হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব জিনিস দিয়ে। চট, খড়, বালি, চায়ের ভাঁড়, ইট ব্যবহার করা হচ্ছে।
১৭ তারিখ পুজোর উদ্বোধন করা হচ্ছে। পাড়ার কঁচিকাচাদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে। থিমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রতিমা। পুজো মণ্ডপেই তৈরি করা হয়েছে প্রতিমা। পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক অসমঞ্জ চট্রোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের এই পুজো মানুষের মনে জায়গা করতে পেরেছি। প্রতি বছর একদম নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। এ বারও সেটাই চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি সবার ভাল লাগবে।’’
থিম ও প্রতিমা শিল্পী- অসমঞ্জ চট্টোপাধ্যায়
যাবেন কী করে?
চঁচুড়া রেল স্টেশন থেকে নেমে অটো বা টটো করে খুব সহজেই পঞ্চানন তলা যাওয়া যাবে। সেখানেই এই পুজো।