বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বড় সমস্যা যদি কিছু থেকে থাকে তা হল বিশ্ব উষ্ণায়ন। তার মধ্যেই চার দিকে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু সমান হারে গাছ লাগানো হচ্ছে না। জলবায়ুতে পরিবর্তন আসছে। এমনকি মরুভূমিতেও গাছ জন্মানোর বিষয় লক্ষ করা যাচ্ছে। এ ছাড়াও মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপের জেরে পরিবেশ দিনের পর দিন খারাপ হচ্ছে।
এই অবস্থা থেকে আমাদের বাঁচাতে গাছ বড় ভূমিকা নিতে পারে। ঠিক এই জায়গা থেকেই নিউ সন্তোষপুর আদি দুর্গোৎসব পুজো কমিটির ভাবনা ‘চলো ফেরাই’।এই থিমের সাহায্যে তাঁরা সবুজ ফিরিয়ে আনার কথা বলতে চাইছেন।
১৯৬০ সালে পাড়ার কয়েকজন মিলে এই পুজো শুরু করেন। এ বার তাঁদের পুজো ৬৩ বছরের। উন্নয়নের দোহাই দিয়ে গাছ কেটে ফেলার বিরুদ্ধে বার্তা দিচ্ছে চাইছেন তাঁরা। তাঁরা বলছেন, উন্নয়ন হোক, কিন্তু তার পাশাপাশি গাছও বাঁচানো হোক, গাছ লাগানো হোক।
পুজো কমিটি ও ক্লাবের সম্পাদক রতন বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের বিভিন্ন কার্যকলাপের জন্য গাছাপালা কাটা পড়ছে। পরিবেশে অক্সিজেন কমে যাচ্ছে। ঘরে ঘরে এখন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র। তার থেকে গরম বাতাস বেরিয়ে বাতাসে মিশছে। তাতে আরও সমস্যা বাড়াছে।’ তিনি বললেন, ‘‘আমরা আমাদের এই থিমের মাধ্যমে বলতে চাইছি যাতে বেশি পরিমাণে গাছ লাগানো হয়।’’
সন্তোষপুর আদি দুর্গোৎসব পুজোর প্রতিমাতেও থাকছে একটি বিশেষ চমক। থিমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিমা ও থিম শিল্পী হিসেবে কাজ করছেন তন্ময় হাজরা।
যাবেন কী করে: যাদবপুর ৮ বি বাস স্ট্যান্ড থেকে বি অটো করতে হবে। ৫-৭ মিনিটের রাস্তা। সন্তোষপুর মিনি বাস-স্ট্যান্ডের কাছে।
থিম শিল্পী: তন্ময় হাজরা।
প্রতিমা শিল্পী: তন্ময় হাজরা।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।