প্রতীকী চিত্র
পুজোর দিনগুলোয় তুমুল জনসমাগম, দোকানির পসরা সব কিছু মিলে যে মন্তাজ তৈরী হয়, অনেকেই তা সন্তর্পণে এড়াতে চান ইদানীং। আর তার হাত ধরেই নাগরিক ক্লান্তি থেকে দূরে, ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়ে গ্রামবাংলার পুজো দেখার আকর্ষণ বেড়েছে। এ রাজ্যের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে আছে এমন কিছু দুর্গাপুজো, যা আপনাকে দেবে মনের আরাম, প্রাণের শান্তি। সঙ্গে পুজোর আমেজ তো আছেই! তারই হালহদিশ এই প্রতিবেদনে।
বিষ্ণুপুর রাজবাড়ির পুজো
বিষ্ণুপুর রাজবাড়ির এই পুজোর বয়স প্রায় একশো বছর। মৃণ্ময়ী মায়ের পুজো নামে খ্যাত এই পুজোয় পৌঁছতে হলে হাওড়া বা সাঁতরাগাছি থেকে ট্রেনে উঠে বিষ্ণুপুর স্টেশনে নামতে হবে। তারপর টোটো বা অটোয় রাজবাড়ি। যাওয়া যায় বাস বা নিজের গাড়িতেও।
পশ্চিম বর্ধমানের তেপান্তর
পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ের কাছে একটি নিরিবিলি গ্রাম তেপান্তর। সবুজে ঘেরা এই গ্রামটি অজয় নদের তীরে, জয়দেবের কেন্দুলি মেলার ঠিকানার কাছে। এখানকার পুজো চালু হয়েছিল রাজা লক্ষ্মণ সেনের হাতে। পরবর্তীকালে এই পুজোকে হেরিটেজ ঘোষণা করে সরকার। এখন এই পুজো আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রের পর্যটন মন্ত্রক।
বরসুল দে বাড়ি
দুশো বছরের পুরনো এই বাড়ির দুর্গাপুজো খুবই প্রসিদ্ধ। জমিদার বাড়ির আভিজাত্য এখন প্রায় অস্তাচলে। তবে পরিবারের সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই পুজোর আয়োজন করা হয় এখনও। ধর্মতলা থেকে এসি বাস রয়েছে যাওয়ার জন্য। হাওড়া থেকে ট্রেনেও যেতে পারেন।
সুরুল রাজবাড়ির পুজো
বীরভূম জেলায় তিনশো বছরেরও পুরনো এই রাজবাড়ি। দু’টি পুজো হয় এখানে। বড় বাড়ির পুজো এবং ছোট বাড়ির পুজো। বীরভূমের সবচেয়ে ঐতিহ্যশালী পুজোগুলির তালিকায় যার নাম একেবারে উপরের দিকে। রাজবাড়ির সামনের মহলটাই দুর্গামন্দির। বিরাটাকার ষোলোটি থামে ঘেরা নাটমন্দির। সিঁড়ি বেয়ে দালানে উঠলে দুর্গামন্দিরের গর্ভগৃহে বছরভর প্রতিমার খড় জড়ানো কাঠামো দেখা যায়। এই কাঠামো হচ্ছে নিরঞ্জনের পরে জল থেকে তুলে এনে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। তাতেই চলে নিত্যপূজা। প্রতি বছর রথযাত্রার দিন নতুন করে তা থেকে মৃণ্ময়ী মূর্তি গড়া শুরু হয়। ট্রেনে বোলপুর। সেখান থেকে গাড়িতে যেতে পারেন সুরুল রাজবাড়ি। পুরোটাই ট্রেনে কিংবা গাড়িতেও যাওয়া যায়।
এই প্রতিবেদনটি আনন্দ উৎসব ফিচারের একটি অংশ।