চন্দননগর মধ্যাঞ্চল
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও হৈমন্তিকার আগমনে চন্দননগর সেজে উঠেছে আলোর উৎসবে। পাঁজি অনুযায়ী, শুক্রবার তিথি হলেও তার আগে থেকেই চন্দননগরে হৈমন্তিকার আগমনে শারদ পঞ্চমীর আবহ ছিল ভরপুর। বৃহস্পতিবার ছিল জগদ্ধাত্রী পুজোর মহাপঞ্চমী, তাই সে দিন সন্ধ্যা থেকেই মণ্ডপে মন্ডপে ছিল উপচে পড়া মানুষের ভিড়। জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই প্রথমেই মাথায় আসে হুগলি জেলার চন্দননগরের কথা। ঐতিহ্যের পাশাপাশি থিমের ছোঁয়াও দেখা যায় চন্দননগর শহরের জগদ্ধাত্রী পুজোয়। আর সেই সব থিমই প্রতি বছর মন জিতে নেয় লাখ লাখ দর্শনার্থীর।
এ বছর চন্দননগরের মধ্যাঞ্চল সর্বজনীনের জগদ্ধাত্রী পুজো ৫৩ বছরে পা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে উদ্বোধন হয়েছে এই পুজোর। এই ক্লাবের পুজোর জন্যে প্রতি বছরই অনেক বড় অঙ্কের টাকা নির্ধারিত করা থাকে। এ বছর তাদের বাজেট প্রায় দেড় কোটি টাকা। বড় বাজেটের সঙ্গে থাকে থিমের চমক। যার টানে দূর দুরান্ত থেকে ছুটে আসে লাখ লাখ দর্শনার্থী। এ বার তাদের থিম ‘মনে রেখো'। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপের মধ্যেই তৈরি করা হচ্ছে স্বপ্নের জগৎ। ফুলের বাগানে উড়ে বেড়াবে পাখি, বিচরণ করবে হরিণ। মা আসবেন সাবেকি সাজে। শোলার চালচিত্রে ফুটে উঠবে ময়ূর।
তবে এ বছর এই পুজো কমিটির সবথেকে বড় চমক ‘লেজ়ার শো'। পুজো মণ্ডপ লাগোয়া পুকুরের জলে লেজ়ারের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে অঙ্গদানের কাহিনী। প্রত্যেকটি লেজ়ার শো হবে পাঁচ মিনিটের। তাতে লেজ়ার ও ধ্বনির মাধ্যমে কিডনি নষ্ট হওয়া অনাথ শিশুর অঙ্গ পাওয়ার আকুতি ফুটে উঠবে। ১৯ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত এই শো দেখানো হবে। শুধু তাই নয়, অঙ্গ প্রতিস্থাপন সহ নানা বিষয় লেজ়ারের দ্বারা ফুটিয়ে তোলা হবে।
এই লেজ়ার শো মূলত অঙ্গ দানের এক নতুন অঙ্গীকার। অঙ্গ দান সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার সঞ্চার করতে এই নতুন ও অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে নারায়না হেলথ কলকাতা। এই আলোর উৎসব হোক সকলের। এই জগদ্ধাত্রী পুজোর আলোয় কেটে যাক সব অন্ধকার। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমই হোক নতুন জীবন দানের সঠিক অঙ্গীকার। আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর আপনিও সাক্ষী থাকুন চোখ ধাঁধানো লেজ়ার শো-এর। প্রবেশ অবাধ।
অন্যকে নতুন জীবন দিন। এগিয়ে আসুন এবং অঙ্গীকার করুন অঙ্গদানের। ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে — bit.ly/47a6kLV
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।