এ বছর দক্ষিণ ভারতের স্থাপত্য শিল্পের ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছে মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টি দুর্গাপুজো কমিটি। প্রাচীন যুগে না ছিল প্রযুক্তি, না ছিল যন্ত্রপাতির ব্যবহার। শিল্পীদের কঠোর পরিশ্রম এবং নিখুঁত কারুকার্যে তৈরি হত প্রাচীন দুর্গ বা মন্দির। সেই প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পকেই কলকাতার পুজো মণ্ডপে তুলে ধরতে মানিকতলা চালতা বাগান লোহাপট্টি দুর্গাপুজো কমিটির এ বারের ভাবনা ‘প্রাচীন স্থাপত্যের রূপদান’।
পুজো কমিটির সম্পাদক রাজেশ কুমার জয়সওয়াল মনে করেন দক্ষিণ ভারতের সেই সকল প্রাচীন কারুকার্যের মাধুর্য অতুলনীয়। দক্ষিণ ভারতের অসাধারণ স্থাপত্য শিল্পকে মণ্ডপে ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী সুতনু মাইতি। দক্ষিণ ভারতের মন্দিরগুলির মূর্তির আদলেই তৈরি করা হয়েছে মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টির প্রতিমা। মাটির প্রতিমাকে পাথরের তৈরির আঙ্গিকে রুপদান করেছেন প্রতিমা শিল্পী বাদল চন্দ্র পাল। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই এমন প্রতিমা তৈরির ভাবনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুজো কমিটির সম্পাদক। একই সঙ্গে দুর্গার পোশাক এবং গয়নাতেও ছোঁয়া রয়েছে দক্ষিণ ভারতের।
১৯৪৩-এ নীতিন জয়সওয়ালের হাত ধরে একটি ছোট দোকানে শুরু হয়েছিল মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টি দুর্গাপুজো। প্রতি বছর ভিন্ন ধারার ভাবনা রুপায়নের জন্য একাধিক পুরস্কারে ঝুলি ভরিয়েছে পুজো কমিটি। এই বছর ৮০তম বর্ষে পদার্পণ করেছে এই পুজো।
পুজো কমিটির চেয়ারম্যান সন্দীপ ভুতোরিয়া মনে করেন, শুধু মাত্র অভিনব ভাবনার জন্যই নয়, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকরণ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিও এই পুজোর নজরকাড়া ভিড়ের কারণ। রাজা রামমোহন রায় সরণির মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টি দুর্গাপুজো আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই বছরে পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং শত্রুঘ্ন সিনহা।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।