দুর্গাপুজো মানেই কলকাতা। এই সময়ে রাস্তায় নামে জনপ্লাবন। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তো বটেই, বিদেশ থেকেও অগুনতি মানুষ আসেন কলকাতার পুজো দেখতে।
কিন্তু কালীপুজোয় সেই ভিড় গিয়ে পৌঁছয় বারাসতে। কলকাতার দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজোয় এখানকার বড় বড় ক্লাবগুলির মধ্যে চলে সমানে সমানে টক্কর।
আলো,প্যান্ডেল, থিম– সব মিলিয়ে কালীপুজোর রোশনাইয়ে সেজে ওঠে গোটা বারাসত। এর মধ্যেই কিছু কিছু প্যান্ডেল হয়ে ওঠে সবার সেরা।
বারাসত কেএনসি রেজিমেন্ট কালীপুজোয় এ বছরের থিম যোধপুরের ‘উমেদ প্যালেস’। ঠিকানা: বারাসত স্টেশন থেকে ৬০০ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এই পুজো।
বারাসত পায়োনিয়ার ক্লাবের থিম ‘লক্ষ্য’। ঠিকানা: বারাসত স্টেশন থেকে ৬০০ মিটার।
আমরা সবাই ক্লাবের থিম ‘কৈলাশ পর্বত’। এই প্যান্ডেলটি তার এলইডি লাইট শো-এর জন্য বিখ্যাত। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। ঠিকানা: বারাসত জংশন রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২.০৮ কিলোমিটার পশ্চিমে। পুজোটি নবপল্লি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত হয়।
বারাসত সন্ধানী ক্লাবের থিম রাশিয়ার ‘সেন্ট মাইকেল'স ক্যাথিড্রাল’। ঠিকানা: বারাসত স্টেশন থেকে ১.৪ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে। হেঁটেও যেতে পারেন অথবা যেতে পারেন ই-রিকশায়।
বালক বৃন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের থিম অমৃতসরের ‘স্বর্ণমন্দির’। হলুদ আলো এবং কাচের কারুকাজ প্যান্ডেলটিকে অপরূপ করে তুলেছে। প্যান্ডেলের বাইরে মিনা বাজারও তৈরি করা হয়েছে। ঠিকানা: বারাসত স্টেশন থেকে ২.৮ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে এই ক্লাব।
১২৭৯ পল্লি অ্যাসোসিয়েশন ক্লাবের এ বছরের থিম বৃন্দাবনের ‘প্রেম মন্দির’। রাধাকৃষ্ণের বিভিন্ন দৃশ্যকল্পে সাজানো এই প্যান্ডেল দর্শনার্থীদের এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা দেবে। ঠিকানা: বারাসত স্টেশন থেকে ২ কিমি পশ্চিমে।
ব্যায়াম সমিতির থিম ‘নদীমাতৃক সভ্যতা’। ঠিকানা: বারাসত স্টেশন থেকে ১ কিমি।
বিধান পার্কের থিম ‘দুবাইয়ের ডাউনটাউন’। ঠিকানা: বারাসত স্টেশন থেকে ১.৮ কিমি। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।