বিসর্জনের বাদ্যির রেশ ধরেই জ্বলে ওঠে কোজাগরীর আলো। ঘরে ঘরে ব্যস্ততা শুরু হয় লক্ষ্মী বন্দনার। কমলা, হরিপ্রিয়া মা লক্ষ্মীরই অন্য নাম
কী উপাচারে সাজাবো মায়ের নৈবেদ্য- ভোগ? সে চিন্তা নিয়েই মগ্ন থাকে শরৎ পূর্ণিমার নিশি নির্মল আকাশ। তবে মন থেকে নিবেদন করতে পারলে সবই গ্রহণ করেন তিনি। কারণ অল্পেই সন্তুষ্ট তিনি!
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় খিচুড়ি ভোগই বেশি প্রচলিত। সঙ্গে থাকে পাঁচ ভাজা লাবড়া, খই মুড়কি, নাড়ু ইত্যাদি নানা উপাচার।
সবজি দিয়ে ভুনা খিচুড়িও বানাতে পারেন। তেমনই বানাতে পারেন পোলাও। মন চাইলে ফ্রাইড রাইস, আলুর দম, পায়েস, মিষ্টি’ও ভোগ হিসাবে নিবেদন করতে পারেন। খিচুড়ি ভোগ মায়ের খুব প্রিয়।
অনেক বাড়িতেই চালের ভোগের রীতি নেই। সেই সব বাড়িতে লুচি, সুজি, শিমুই, ডালিয়া, বাঁধাকপি বা ফুলকপি দিয়ে নানা পদ হয়। ফলমূ্ল, সন্দেশ, নাড়ু ইত্যাদি ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয়।
পূর্ববঙ্গীয় রীতিতে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর ভোগে অনেক বাড়িতেই জোড়া ইলিশ নিবেদন করা হয়। এই দিন ইলিশের পাঁচ পদ রান্না করা হয়।
চালের পায়েস তো আছেই। এ ছাড়া ছানার পায়েস কিংবা খেঁজুর গুঁড়ের পায়েস বানাতে পারেন। ফলের পায়েসও মন্দ হবে না।
নাড়ু-মুড়ি-মুড়কি দেওয়া কিন্তু আবশ্যক। মায়ের ভোগের জন্য নিজের হাতে বানিয়ে ফেলুন নাড়ু। তিল বা নারকেল দিয়ে নাড়ু বানাতে পারেন কিংবা বানাতে পারেন চিনির নাড়ু। এর সঙ্গে ভোগে দিন মুড়ি-মুড়কি। নারকেলের নানা মিষ্টিও বানাতে পারেন।
বাড়িতে তৈরি করে মাকে নিবেদন করতেই পারেন নারকেল মিষ্টি, চন্দ্রপুলি, দুধের সন্দেশ, সুজির নাড়ু। কিংবা বানিয়ে ফেলুন শাহী ক্ষির বা সাবু দানার পায়েস।