আর পাঁচটা সর্বজনীন দু্র্গা পুজোর থেকে অনেকটাই আলাদা হাওড়া শিবপুরের ওলাবিবিতলার দুর্গা পুজো। পাড়ার পুজো বটে, তবে বনেদি পুজো থেকে কম যায় না এই পুজো কমিটি। পুজোয় আজও লাগে মানব রক্ত। না বলি প্রথা কোনও দিনও ছিল না। তবে পুজো শুরুর প্রথম বর্ষ থেকে কর্ম-কর্তারা নিজেদের বুকের রক্ত মায়ের কাছে অর্পণ করেন। সেই প্রথা আজও চলছে।
ওলাবিবিতলা প্রণব স্মৃতি সংঙ্ঘের সাধারণ দুর্গোৎসব পুজো এ বারে ৫৪ বছরের। রাজবাড়ির আদলে সাজছে এখানকার পুজো। বাঁশ, শোলা ইত্যাদি কাজে লাগিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ।
মা দুর্গা এখানে মহিষাসুরমর্দিনী নন। অকাল-বোধন রুপে পুজো করা হয় তাঁকে। মায়ের ছেলে-মেয়েরাও থাকে না। থাকে রাম-লক্ষণ-হনুমান। পুজোর চার দিনের নিয়মে অবশ্য কোনও খামতি রাখা হয় না। নবমীর দিন কুমারী পুজো করা হয়। সেই দিনই বেল পাতায় ক্লাবের কয়েকজন কর্তা নিজেদের বুক কেটে রক্ত মায়ের কাছে দেন। পঞ্চমীর দিন এই পুজো সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
প্রতিমা শিল্পী- সুভাষ পাল
যাবেন কী করে- হাওড়া স্টেশন থেকে মন্দিরতলাগামী বাস ধরতে হবে। সেখানে নেমে টোটো বা পায়ে হেঁটে হাজার হাত কালী মন্দির। সেখনেই হয় এই পুজো।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।