প্রযুক্তি সমাজের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। তা সে ভাল হোক কিংবা খারাপ। মানুষ চাঁদের দক্ষিণ-মেরুতে পৌঁছেছে প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে। ঠিক তেমন ভাবেই প্রযুক্তির অপব্যবহার হচ্ছে বলে মনে করেন অনেকেই। সেই জায়গা থেকে কালিকাপুর মধুরদহ ইউনাইটেড ক্লাব এই বারের দুর্গা পুজোয় প্রযুক্তির এমন অপব্যবহার দূরে রাখার বার্তা দিতে চলেছে।
ইএম বাইপাসের কাছে কালিকাপুরে পাড়ার বাসিন্দারা মিলে এই পুজো শুরু করছিলেন। এই নিয়ে ১১ বছরে পদার্পণ করল তাঁদের পুজো।
এই প্রথম বার সাবেকিয়ানা ছেড়ে থিম পুজোর দিকে ঝুঁকলেন তাঁরা। থিমের নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রযুক্তির বিড়ম্বনায়, শান্তির আরাধনায়’। মণ্ডপ তৈরির ক্ষেত্রে কোনও রকম প্লাস্টিক ও পরিবেশের ক্ষতি করে এমন পদার্থ ব্যবহার করা হচ্ছে না।
প্রতিমার ক্ষেত্রেও থাকছে বিশেষত্ব। প্রতিমা বানানো হচ্ছে পুরোপুরি মাটির। মূর্তির চুল বানানোর জন্যও মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। চর্তুথীর দিন থেকে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে মণ্ডপ। ক্লাব ও পুজো কমিটির সহ-সম্পাদক অজয়কুমার দাস বলেন, ‘‘আগে আমরা পুজোর সময় সবাই এক সঙ্গে বসে গল্প করে কাটাতাম। এখন তা হয় না। সবার হাতে একটা করে ফোন থাকে, তা নিয়েই ব্যস্ত থাকি সবাই। প্রযুক্তির ভাল দিকের সঙ্গে আমরা খারাপ দিকটাকে গ্রহণ করছি। এই বার আমরা এই বার্তাটাই দিতে চাইছি। যাতে খারাপ দিকটা আমরা ছাড়তে পারি।’’ যাবেন কী করে- গড়িয়াহাটের দিক থেকে বাস ধরে কালিকাপুর বাস স্ট্যান্ডে নেমে খালের পাশ দিয়ে আনন্দপুর থানার দিকের রাস্তায় একটু গিয়ে ডান হাতে ক্লাব ও পুজো প্রাঙ্গণ।
থিম শিল্পী: পৃথীরাজ পাল
প্রতিমা শিল্পী: স্বপন রুদ্র পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।