মুক্তির রূপটানে দেবী ভবতারিণী
ছোটবেলা থেকেই আমি স্বপ্ন দেখতাম পুকুরের মধ্যে দেবী কালীর বিভিন্ন অংশ পড়ে আছে তার মাঝে আমি। সম্প্রতি আমার জীবনে অদ্ভুত একটা ঘটনা ঘটে। আমি সিমলা কালী বাড়িতে গিয়ে ছিলাম। সেখান থেকে মায়ের একটা ছবি নিয়ে আসি। আমি বহুদিন পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের বাড়িতে ছিলাম। ওখানে একটা ঘর ছিল। একেবারে নিস্তব্ধ। ওই ঘরে আমি থাকতাম। রাতে আমি আঁকতে বসি। তখন রাত তিনটে। রোজের মত আমি আঁকতে বসেছি, হঠাৎ শুনলাম শাখা-পলার আওয়াজ। আওয়াজটা সবদিক থেকে আসছে। কিন্তু আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। ঋতুদার একটা সাউন্ড রেকর্ডিং স্টুডিও ছিল, ওই ঘরেও গেলাম। কিছুই নেই। তারপর যখন নিজের ঘরে ফিরে এলাম, দেখলাম সিংহাসনে সিমলা কালী বাড়ির মা বসে আছেন। আমাকে বলছেন ‘কোথায় খুঁজছিস, আমি তো এখানেই বসে আছি।’ আমি অনেক ক্ষণ ওই জায়গা থেকে নড়তে পারিনি। আমার যে কোনও কাজে আমি জানি মা তারা আমার সঙ্গে আছেন।
মুক্তির রূপটানে দেবী ভবতারিণী
প্রত্যেকবার কালী পুজোর আগে আমি মনুষ্য দেহে দেবী কালীর রূপদান করি। গত বছর বড়মার রূপদান করেছিলাম। এবার মা ভবতারিণীর রূপ দিয়েছি। বড়মার রূপদান করার সময় যাকে বড়মা সাজাচ্ছি, তার চোখ বন্ধ করে মেকআপ করেছিলাম। এবারও শ্রুতির চোখ পাঁচ-ছ ঘন্টা বন্ধ ছিল। আমার এই কাজ দেখার পর সারা পশ্চিমবঙ্গের রূপটান শিল্পীরা এই ভাবেই মেকআপ করেন। এবার ভবতারিণীর রূপদগানও আমার কাছে এক স্বপ্মপূরণ। আমার টিমের মেম্বাররা খুব সাহায্য করেছে। ওদের আর মা তারা সাহায্য ছাড়া এমন কাজ করা সম্ভব হত না।