হাওড়া বাজে শিবপুর অঞ্চলের এটি একটি প্রাচীন পুজা। এই বছর ৮৫ তম বর্ষে পদার্পণ করল এই পুজো। কোনও থিমের জাঁকজমক নয়, বাজে শিবপুর সাধারণ দূর্গোৎসব কমিটি প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও সাবেকিয়ানার ধারাই অব্যাহত রাখছে। থাকছে সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত ভোগের ব্যবস্থাও। ভোগ রান্না করবেন সদস্যরাই। নবমীতে রয়েছে অন্নকূটের উৎসব। সেই দিন প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ লোকের ভোগ খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে প্রতি বছর।
১৯৩৯ সালে প্রথম এই পুজো শুরু করেন বাজে শিবপুর অঞ্চলের বিশিষ্ট কিছু ব্যক্তি। প্রথমে হোগলা পাতার মন্ডপ তৈরি করে তাতে পুজো শুরু করা হয়েছিল। কালক্রমে ধীরে ধীরে এই পুজো সকলের কাছে পরিচিতি পেতে থাকে। জন্ম লগ্ন থেকে থেকে শুরু করে আজ অবধি এই পুজো সাবেকিয়ানার ধারা অব্যাহত রেখেছে। নিষ্ঠা সহকারে প্রতি বছর এই পুজো সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করা হয়।
পুজোর সহকারী সম্পাদক শুভদীপ দত্তের কথায়, ‘‘এই বছর আমাদের পুজোর প্রতিমা এবং মণ্ডপ সজ্জা সাধারণ থাকলেও, চমক রয়েছে আলোক সজ্জাতে। এই বছর আমাদের পুজোর ৮৫তম বর্ষ। তাই তৃতীয়া থেকেই প্রতিমা দর্শন করা যাবে।’’
কী ভাবে যাবেন: হাওড়া মন্দির তলা বাস স্টপে নেমে দশ মিনিট হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন মণ্ডপে। দয়াল বন্দ্যোপাধ্যায় রোড, রাজকুমার কুন্ডু লেন, এবং বাজে শিবপুর সেকেন্ড বাই লেনের ঠিক সংযোগ স্থলেই পুজো মণ্ডপ।
প্রতিমা শিল্পী: কালাচাঁদ রুদ্র পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।