ভবানীপুরের একই গলিতে হওয়া তিন-তিনটে সরস্বতী পুজোর ভাসান ঘিরে মারপিট থামাতে গিয়ে মধ্যস্থতার জেরে সে বছরই যে দুর্গাপুজোর শুরু, আজ সেটাই ‘সম্মিলনী’-র ৬৫তম দুর্গোৎসব।
সে দিন পাড়ার বয়োজ্যেষ্ঠরা যে মধ্যস্থতার পথ দেখান, সেই সরণি ধরেই যেন এদের এ বছরের দুর্গাপুজোয় সেকাল-একালের ভেতর ভারসাম্য আনার অসীম চেষ্টা চলছে!
‘সম্মিলনী’ র সাধারণ সচিব কৌশিক দত্ত জানাচ্ছেন, তাঁদের এ বারের পুজো পুরোপুরি থিম পুজো নয়, আবার পুরোপুরি সাবেকি পুজোও নয়। দুটোর মাঝামাঝি। পুরাতনের সঙ্গে নতুনত্বের মেলবন্ধন। ভবানীপুর থানার ঠিক আগের গলির এই পাড়াতেও বাস্তবে যেন তাই-ই। পাড়ায় বেশিরভাগ প্রবীণ মানুষজনের বসবাস। বিশেষ করে বয়োজ্যেষ্ঠা মহিলারা এই দুর্গাপুজোয় বেশি সক্রিয়। এবং পাড়ার প্রবীণ-প্রবীণারা প্রায় সবাই সাবেকি পুজো, এক চালার দুর্গা প্রতিমায় বিশ্বাসী। কিন্তু তুলনায় সংখ্যায় কম হলেও ক্লাবের নবীন সম্প্রদায়ের সাধ-আহ্লাদকেও তো মূল্য দিতে হবে। ওঁরাও তো এই পাড়ারই ছেলে! ন্যায্য ব্যাখ্যা ‘সম্মিলনী’র সাধারণ সচিবের।
আর তাই থিমের পুজো না হলেও এবার এঁদের মন্ডপ শিল্পী এবং প্রতিমা শিল্পী, দুই-ই যিনি, পটুয়াপাড়ার সেই করুণ পাল পুজো-ভাবনাটিকে বলছেন, ‘একাল সেকাল’। ২০১৯ সালের পর এই শিল্পী আবার ‘সম্মিলনী’র পুজোকে সাজিয়ে তুলছেন। পুজো কমিটির সাধারণ সচিব জানিয়েছেন, তাঁদের এ বারের পুজোয় যত বেশি সম্ভব পাড়ার লোকজনকে যুক্ত করতে চেয়েছেন তাঁরা। ‘সম্মিলনী’র এবারের মন্ডপ তথা প্রতিমা শিল্পী আসলে থাকেন এই ক্লাবের পিছনের গলিতেই।
কীভাবে যাবেন : হাজরা মোড় থেকে আশুতোষ কলেজের দিকে, ভবানীপুর থানার ঠিক আগের গলিতে এই পুজো।
ভাবনা : একাল সেকাল
ভাবনায় এবং প্রতিমা শিল্পী : করুণ পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।