রোজকার জীবন পথে চলার সময় বা কোথাও ঘুরতে গিয়ে আমরা অনেক জিনিস দেখি যা রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের কাছে তা অর্থহীন মনে হয়। কখনও ভেবে দেখি না ওই ফেলে থাকা পদার্থটি বা বস্তুটিকে কাজে লাগিয়ে সকলকে চমকে দেওয়া যায়।
নিজেদের ৭৫তম বর্ষ দুর্গোৎসবের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে এইরকমই চিন্তা ভাবনা করছে সবর্না পাড়া বড়িষা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। প্রধানত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদীতে বিভিন্ন রংঙের পাথর পাওয়া যায় তার দিয়েই শিল্পের আকার দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এইবার পুজোর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাইলস্টোন’। উঁচু-নিচু পাহাড়ি পরিবেশের মধ্যে একটি বড় পাথরের আদলে মূলমণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে।
ক্লাবের সদস্য তন্ময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ আমরা এবার ৭৫তম বর্ষে পদার্পণ করছি। এই ৭৫ বছরে আমরা এক-এক পথ পেরিয়ে আজকের জায়গায় এসেছি। কোনও জায়গায় যাওয়ার সময় রাস্তার পাথরফলক আমাদের গন্তব্যের দূরত্বের জানান দেয়। সেই দিক মাথায় রেখে এবারের পুজোর নাম দিয়েছি ‘মাইলস্টোন’। মণ্ডপও সেই ভাবেই তৈরি হচ্ছে। প্রতিমাও মণ্ডপের সঙ্গে মিলিয়েই বানানো হচ্ছে। নদীর মধ্যে থাকা পাথর দিয়েও বিশেষ কিছু করা যায়। সেটাই আমরা দেখাতে চলেছি”।
যাবেন কী করে- শিয়ালদহ থেকে ঠাকুরপুকুরগামী বাস ধরে সখের বাজার নামতে হবে। সেখান থেকে ডান দিকে ঘুরেই চণ্ডী মেলার মাঠ। সেখানেই এই পুজোর মণ্ডপ।
থিমের- মাইলস্টোন
থিম শিল্পী- বিমল সামন্ত
প্রতিমা শিল্পী- অলোক দে
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।