জোড়াসাঁকো শিবকৃষ্ণ দাঁ বাড়ি
কলকাতা জোড়াসাঁকো শিবকৃষ্ণ দাঁ পরিবারে দুর্গোৎসবের প্রবর্তন ১৮৪০ খ্রীষ্টাব্দে। এই বংশের আদিপুরুষ গোকুলচন্দ্র দাঁ'র প্রাচীন নিবাস বর্ধমান জেলার মেমারী সন্নিহিত সাতগাছিয়া। দাঁ মহাশয়ের সেই ভদ্রাসনে মন্দির-মূর্তির অস্তিত্ব আজও বর্তমান। সেখানেও দুর্গোৎসব কতকাল ধরে চলেছিল সে বৃত্তান্ত অজানা। জোড়াসাঁকো দাঁ পরিবার কলকাতার প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য সূত্রে জড়িত। প্রাচীন কলকাতার বনেদী বাড়ীর সব দুর্গোৎসব এখন আর বেঁচে নেই। কিন্তু দাঁ পরিবারে এ বছর ১৮২তম দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জোড়াসাঁকো দাঁ পরিবারে বারোমাসে তেরো পার্বণ অনুষ্ঠিত হয়, তন্মোধ্যে দুর্গোৎসব প্রধান। এই পরিবারে দুর্গোৎসবের জাঁকজমক, আড়ম্বর ও রসিকতার কথা একাধারে ইতিহাস ও কিংবদন্তী। জোড়াসাঁকোর দাঁ বাড়ির দুর্গোৎসবের কথা বিগতযুগেই নানা পুস্তক, পত্রপত্রিকায় আলোচিত হয়েছে। শোভাবাজার রাজবাড়ি, দ্বারকানাথ ঠাকুর, অভয়চরণ মিত্র ও জোড়াসাঁকোর দাঁ পরিবারের দুর্গোৎসব নিয়ে অনেক গল্প ও কাহিনী প্রচলিত আছে।
জোড়াসাঁকো শিবকৃষ্ণ দাঁ বাড়ি
মা দুর্গা দাঁ পরিবারে এসে গহনা পরেন— একথা আজও অনেকে স্মরণ করেন। জোড়াসাঁকোর প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর দাঁ পরিবারের দুর্গাপূজার আড়ম্বরের সঙ্গে পাল্লা দিতেন বলেও প্রচলিত আছে। প্রাচীন বৈষ্ণব পদ্ধতির এই পারিবারিক দুর্গোৎসব অতীত বাঙলার এক সজীব স্মৃতি। এ বৎসরে ঐতিহ্যপূর্ণ সেই দুর্গোৎসবের ১৮২তম পূজা উৎসব পালিত হচ্ছে।