প্রায় ২০০ বছরের পুরনো উত্তর কলকাতার চোরবাগান অঞ্চলের লাহা বাড়ির পুজো।
ঐতিহ্যে ঘেরা এই পুজোর সূত্রপাত ভগবতীচরণ লাহার হাত ধরে। এর পরে বংশানুক্রমে লাহা পরিবারের যৌথ প্রয়াসে হয়ে আসছে পুজো।
লাহা বাড়ির দুর্গোৎসবে অন্যতম আকর্ষণ প্রতিমা। এখানে মা দুর্গার রুদ্রমূর্তি পূজিত হয় না। এখানে পুজো পান হর-গৌরীর প্রতিমা।
চেনা অসুর বধের চিত্র এখানে চোখে পড়বে না। লাহা বাড়ির দেবী দুর্গা বসে থাকেন শিব ঠাকুরের কোলে।
লাহা পরিবারে সারা বছর একটি অষ্টধাতুর ‘জয় জয় মা’ অর্থাৎ সোনার দেবতার বন্দনা করে।
পুজোর আগে কুলদেবতাকে দেবী দুর্গার সম্মুখে প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং পূজা করা হয়।
অষ্টমীতে বাড়ির মহিলারা সন্তানদের কোলে বসিয়ে, ধুনো পোড়ানোর রীতি পালন করে পুজো করেন থাকেন।
বিসর্জনের সময়ে লাহা বাড়ির প্রতিমাকে দোলার আকারে নিয়ে যাওয়া হয়। বিসর্জনের পর প্রতিমার কাঠামোটি পুনরায় নিয়ে আসেন তাঁরা। এই কাঠামোই বছরের পর বছর ধরে লাহা বাড়ির দুর্গা প্রতিমা নির্মাণে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
লাহা বাড়ির দুর্গাপুজোয় অন্নভোগের রেওয়াজ নেই। ভোগে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ রকমের মিষ্টির থালা মা দুর্গাকে উৎসর্গ করা হয়। মহালয়ার দিন থেকে এই মিষ্টি তৈরির কাজ শুরু হয়।
যেহেতু অন্নভোগের প্রচলন নেই তাই এখানে লুচি, পুরি, মিষ্টি ভোগ হিসাবে গ্রহণ করা হয়। পুজোর চার দিন গোটা পরিবার সম্মিলিত হয়ে এই ভোগের আয়োজন করে।