রবিবার নজরুল মঞ্চে ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যা প্রকাশ অনুষ্ঠান
পুজোর গানে এ বারেও মমতার ছোঁয়া। প্রতি বছরের মতো শারদীয়া উপলক্ষে আসছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন গান। শুধু গোটা গান নয় আর, একেবারে গোটা অ্যালবাম! কথা, সুর, কণ্ঠ- সবেতেই রয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এ বছর পুজোর উদযাপন শুরু হয়েছে প্রায় এক মাস আগেই। সৌজন্যে ইউনেস্কোর তরফে কলকাতার দুর্গাপুজোর বিশ্ব হেরিটেজ তকমা লাভ। সেই উন্মাদনা আরও বাড়িয়ে তুলতে, ‘বাংলার গান, উৎসবের গান’ নামে অ্যালবামটি প্রকাশ করেছেন মমতা। শুধু গানগুলি নিজে লিখেছেন তা-ই নয়। সুরকার এবং গীতিকারও তিনিই।
নজরুল মঞ্চে ‘জাগো বাংলা’ পত্রিকার উৎসব সংখ্যা প্রকাশ মঞ্চেই রবিবার মুক্তি পেয়েছে এই অ্যালবাম। তাতে ‘টাক ডুমাডুম’, ‘আমি সঙ্গীত পিয়াসী’, ‘চলো যাই চলো যাই’, ‘ধ্রুবতারা তুমি’ – সহ মোট ৭টি গান রয়েছে । একাধিক শিল্পী এই অ্যালবামে গেয়েছেন এক সঙ্গে। নজরুল মঞ্চে রবিবার থেকেই পাওয়া যাবে গানের সিডি। পরে পাওয়া যাবে তৃণমূল ভবন থেকে।
রবিবার নজরুল মঞ্চে ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যা প্রকাশ অনুষ্ঠান
উদ্বোধনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্ঠে আবেগ, “গানগুলো সবাই মিলে করেছি। রাজ খুব ভালভাবে সব আয়োজন করেছে। গানগুলো আপনারা পুজোর সময়ে ক্লাবে ক্লাবে বাজাতে চাইলে, বাজাতে পারেন।”
‘জাগো বাংলা’র পূজাবার্ষিকী প্রচ্ছদ এ বছর এঁকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, সুখেন্দুশেখর রায়, সৌগত রায়, শুভাপ্রসন্ন, নৃসিংপ্রসাদ ভাদুড়ী, ইন্দ্রনীল সেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ মঞ্চস্থ করেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় এই অ্যালবামের গায়কের তালিকায় শ্রীকান্ত আচার্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। শ্রীকান্ত এই অ্যালবামে গান করেনি। আমরা ভুলবশত তার নামটি প্রকাশ করেছিলাম। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।)
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ ফিচারের' একটি অংশ।