বিশ্বকর্মা পুজো মানেই ভো-কাট্টা। নীল আকাশে শুধুই রংবেরঙের ঘুড়ির মেলা।
বিশ্বকর্মা পুজোয় এই ঘুড়ির খেলা যে শুধু বাংলাতেই হয় তা নয়, বরং সারা দেশেই ঘুড়ির লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো।
মকর সংক্রান্তি দিন গুজরাট জুড়ে চলে ঘুড়ির প্রতিযোগিতা।
পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, বগ্গা — সারা বিশ্ব জুড়ে এমনই নানা ধরনের ঘুড়ি রয়েছে।
পাতলা কাগজ আর শুরু কাঠি বা কঞ্চি দিয়ে বানানো হয় ঘুড়ি। সঙ্গে মাঞ্জা দেওয়া সুতো। নানা উপাদান এবং নকশার সংমিশ্রণে ঘুড়ি বানানো হয়।
ইতিহাস অনুযায়ী, তেরো দশকের শেষের দিকে মার্কো পোলো প্রথম ইউরোপে ঘুড়ির খোঁজ দেন। এর পরে সম্ভবত, ষোলো ও সতেরো দশকে জাপান এবং মালয়েশিয়ায় শুরু হয় ঘুড়ির চল।
মকর সংক্রান্তি এবং বিশ্বকর্মা পুজোর দিন গোটা ভারত জুড়ে পালিত হয় ঘুড়ির উৎসব। কলকাতাতে পৌষ সংক্রান্তি এবং বিশ্বকর্মা পুজোর দিনও ঘুড়ি ওড়ানো হয়। তামিলনাড়ুতে পোঙ্গল এবং গুজরাতে উত্তারয়ণের সময় পালিত হয় ঘুড়ির উৎসব। বিশ্ব জুড়ে কী কী ঘুড়ি রয়েছে দেখুন এক ঝলকে।
ডায়মন্ড কাইট: সবথেকে পরিচিত ঘুড়ি হল ডায়মন্ড কাইট। ১৮৫০-এর পর থেকে এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ জায়গায় এই ঘুড়ির দেখা মেলে।
বার্ন ডোরের ঘুড়ি: বার্ন ডোরের এই ঘুড়ি সমান এবং ভিন্ন অনুপাতের সঙ্গে বানানো হয়। ১৮০০-এর মাঝামাঝি সময় থেকে উৎপত্তি এই ঘুড়ির।
রোলার ঘুড়ি: আকাশে হাওয়ার তীব্র গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই রোলার ঘুড়ি অনেকক্ষণ টিকে থাকতে পারে। বিংশ শতকের শুরুর সময় থেকে দেখা মেলে এই ঘুড়ির।
স্লেড ঘুড়ি: সমুদ্র সৈকতের দিকে এই ঘুড়ি উড়তে বেশি দেখা যায়। অনেকটা প্যারাসুট আকৃতির দেখতে হয়।
বক্স ঘুড়ি: নাম থেকেই বোঝা যায় এই ঘুড়ি দেখতে অনেকটা বাক্সের মতো। যদিও এই ধরনের ঘুড়ি আকাশে খুব কমই দেখা যায়।
অক্টোপাস ঘুড়ি: এই ঘুড়ির আকৃতি একদম অক্টোপাসের মতো। দৈর্ঘ্যেও বেশ খানিকটা লম্বা। সমুদ্র সৈকতেই এই ঘুড়ি ওড়ানোর চল রয়েছে বেশি।
ডেল্টা ঘুড়ি: বিশ্বকর্মা পুজোর দিন আকাশে দিকে তাকালে এমন ঘুড়ি চোখে পড়বেই। সম্ভবত, ঘুড়ির নকশাগুলির মধ্যে এইটি হল প্রথম ঘুড়ি।
আজ বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে গোটা বাংলা মেতে উঠেছে ঘুড়ি উৎসবে। তবে নীল আকাশে ঘুড়ির সংখ্যা কমেছে ঠিকই, কিন্তু রেশ থেকে গিয়েছে আনন্দ উৎসবের