Bonedi Barir Pujo

শিবের কোলে বসে মা দুর্গা! এই রূপেই মা পূজিত হন দে বাড়িতে

গোয়াবাগান লেনের দে বাড়ি। এখানে দেবী পূজিত হন হরগৌরী রূপে। শিবের কোলে থাকেন দেবী। আজও পুরনো সব রীতি মেনেই মায়ের পুজো হয় এখানে।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:১৩
Share:

প্রতীকী চিত্র।

দুর্গা পুজো মানেই উত্তর কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজো। হরেক বাড়ির হরেক নিয়ম। কোথাও পুজো হয় কালো দুর্গার, তো কোথাও আবার সিংহের মুখ ঘোড়ার মতো। উত্তর কলকাতার দে বাড়ির পুজোতেও কিন্তু রয়েছে বিশেষ চমক।

Advertisement

গোয়াবাগান লেনের দে বাড়ি। এখানে কেবল মা আর তাঁর চার সন্তান নয়। সঙ্গে আসেন স্বামী মহাদেব। যেন মেয়ে জামাই চার ছেলে মেয়েকে নিয়ে এসেছেন বাপের বাড়িতে। এই বাড়িতে দেবী পূজিত হন হরগৌরী রূপে। শিবের কোলে থাকেন দেবী। আজও পুরনো সব রীতি মেনেই মায়ের পুজো হয় এখানে। নিয়মে এদিক ওদিক হলেই নামবে বিপদের খাড়া। এটাই নাকি বিশ্বাস বাড়ির লোকেদের।

রথের দিনে বায়না দেওয়া হয় প্রতিমার। জন্মাষ্টমীতে কাঠামো পুজো। আর মহালয়ায় দেবীর আসনে আলপনা দেন বাড়ির কর্তৃ। তার পর দেবী ওঠেন তাঁর আসনে। পঞ্চমীতে পাড়ার এবং বাড়ির মেয়ে বউরা মিলে বাঁধেন মায়ের অর্ঘ্য। অষ্টমীতে ধুনো পোড়ানোর রীতি। আগে পশু বলি দেওয়া হলেও এখন হয় না। এক বার বলির সময় মৃত্যু ঘটে পরিবারের এক সদস্যের, তার পর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় পশুবলি। বদলে হয় চাল কুমড়ো এবং আখ বলি। অন্ন ভোগ নয়, মায়ের পুজোয় দেওয়া হয় লুচি, ভাজা, সুজির হালুয়া। সন্ধি পুজোতে ফল থেকে মিষ্টি, রাবড়ি, দই, ক্ষীর, মেওয়া, মাখন সব দিয়ে সাজানো হয় নৈবেদ্য। দশমীতে প্রথা মেনে করা হয় আমিষ ভক্ষণ। সন্ধ্যায় দেবীর বরণ, তার পর সিঁদুর খেলা। এর পরেই মেয়ে জামাইয়ের ফিরে যাওয়ার পালা। গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয় মাতৃমূর্তি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement