বান্ধব সমিতির কালী প্রতিমা
নেই কোনও থিমের জাঁকজমক, নেই বিশেষ প্যান্ডেল সজ্জা। তবুও হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ভিড় করেন বীরভুমের পুরন্দপুরের বান্ধব সমিতির কালীপুজোয়। কিন্তু কেন? এই প্রশ্ন সবার মাথাতেই আসা স্বাভাবিক। আসলে যেই কারণে এখানে এত মানুষের সমাগম, সেই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে এখানকার কালী প্রতিমার পিছনে। এখানকার কালীর উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট।
এই ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তা এবং অন্যতম সদস্য পার্থসারথী কর্মকার আনন্দবাজার অনলাইনকে জানান, প্রতি বছর এখানে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ভিড় করে এই বিশালাকার কালী প্রতিমাকে দেখার জন্য। ১৯৪০ সালে এই ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকেই এখানে কালীপুজোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রথমে এত বড় কালীপুজো না হলেও গত ৩৫ বছর ধরে তুলনায় বড় আকারের প্রতিমার পুজো শুরু হয়। তিনি আরও জানান, এত বড় প্রতিমা পুজোর পিছনে কোনও আধ্যাত্মিক কারণ নেই।
এই বড় কালী পুজো শুরু করার পিছনে আছে অন্য কারণ। এই ক্লাবেরই কয়েক সদস্য দুর্গাপুজোর নবপত্রিকা স্নান করানোর সময় হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেন, তাঁদের ক্লাবের কালীপুজোর প্রতি মানুষের বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য রাজ্যের সবচেয়ে বড় প্রতিমা তৈরি করবেন। আর যেমন ভাবনা তেমন কাজ। শুরু হয় বিশালাকার কালীর পুজো। যেই কালীর উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। ক্লাবের ৭৫ বছর প্রতিষ্ঠা দিবসে ৭৫ ফুটের কালী তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সদস্যরা। কিন্তু তার বাস্তবায়ন সম্ভব না হওয়ায় সেই বছর ৭১ ফুটের প্রতিমা তৈরি করেছিলেন তাঁরা। তা ছাড়া প্রতি বছর সরকারি বিধিনিষেধ মেনে তাঁরা প্রায় ৫০ ফুটের কালীই পুজো করে আসছেন।
এই বছর কালীপুজোতে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন বীরভুমের পুরন্দপুরের বান্ধব সমিতি ক্লাব থেকে। আর দেখে আসতে পারেন রাজ্যের সবচেয়ে বড় কালীর প্রতিমা। বোলপুর থেকে সিউড়িগামী যে কোনও বাস বা গাড়িতে চড়লেই আপনি পৌঁছে যেতে পারেন এই কালীপুজো প্রাঙ্গণে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।