পায়োনিয়ার পার্ক শ্যামাপুজো: বারাসতের অতি পরিচিত এই পুজোর থিমে প্রতি বছরই কিছু না কিছু নতুনত্ব থাকে। এই বছরের থিম সুদূর আফ্রিকার মরক্কো কসবা টাওয়ার। বুর্জ খলিফা, ট্যুইন টাওয়ারের পর দর্শনার্থীদের কাছে এখন বিশেষ আকর্ষণ এই মরক্কো টাওয়ার।
বারাসত কেএনসি রেজিমেন্ট কালীপুজো: “আলোর খেলায় ভেসাক মেলায়” – এই থিমেই পুজো হচ্ছে এই ক্লাবে। মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে শ্রীলঙ্কার ভেসাক উৎসবের অনুকরণে। যেখানে দর্শনার্থীরা ঠাকুর দেখার পাশাপাশি উপভোগ করতে পারবেন সেই দেশের শিল্প সংস্কৃতি।
নবপল্লি বয়েজ স্কুল আমরা সবাই ক্লাব: এই ক্লাব নিয়েও বেশ উৎসাহী সকলে। কর্নাটকের সুপ্রাচীন ও জাগ্রত কোটি লিঙ্গেশ্বর শিব মন্দির উঠে আসবে শ্যামা পুজোর মণ্ডপসজ্জায়।
নবপল্লি অ্যাসোসিয়েশন: এই ক্লাবের দৌলতে কেদার ধাম দর্শন করতে পারবেন বয়স্ক মানুষরাও। কারণ এই ক্লাবের শ্যামা পুজোয় এ বারের ভাবনা 'কেদারনাথ মন্দির'। এই তীর্থস্থানকে হুবহু রূপ দেওয়ার পথে এই ক্লাব।
বারাসত সন্ধানী ক্লাব: পুজো কমিটির পক্ষ থেকে এখনই বিশদে কিছু জানানো হয় নি। তবে বিশেষ আকর্ষণ হল এ বার প্রতিমা নিয়ে আসা হচ্ছে লিফটে করে। অন্য এক বিশেষ চমকও অপেক্ষা করছে এই পুজোকে ঘিরে, এমনটাই মত অনেকের।
বারাসত ন’পাড়া ওয়েলফেয়ার: আমাদের চারপাশ দূষিত হচ্ছে নানা ভাবে। তাই এ বছরের থিম “পরিবেশ দূষণ”। মণ্ডপসজ্জায় দূষণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবে এই ক্লাব।
বারাসতের আগুয়ান সংঘ: সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে পদার্পণ এই বছর। তাই সব থেকে বড় কালী মূর্তির পরিকল্পনা রয়েছে। ক্লাব সূত্রের খবর, প্রতিমাই এ বার তাদের বিশেষ আকর্ষণ। প্রায় ৫০ ফুটেরও বেশি উচ্চতা হতে পারে প্রতিমার।
কালিকাপুর যুবগোষ্ঠী: অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আধিক্যে হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব। নেমে আসছে নানা বিপদ। সেই ভাবনাকেই ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে এ বারের থিমে। মনে করা হচ্ছে, শিশুদের জন্যও এক বার্তা উঠে আসবে এই পুজোর পরিকল্পনার হাত ধরে।
বারাসত মৎস্য আড়ত কল্যাণ সমিতি: পাহাড়ের ভিতরে মুক্তোর প্রতিমা! এই বছর এই থিমেই সেজে উঠছে মণ্ডপ। দর্শনার্থীরা বেশ আগ্রহী এই ক্লাবের পুজো নিয়ে।
বারাসত নোয়াপাড়া সংহতি ক্লাব: মণ্ডপ জুড়ে আয়না! এই বছর কালীপুজোয় দর্পণের প্রতিবিম্বের হরেক খেলা তুলে ধরবে এই ক্লাব।