১৯৫১ সাল থেকে শুরু হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার নামজাদা দুর্গাপুজো ৬৬ পল্লির পথ চলা। তার মধ্যেই ২০০৪ সাল থেকে শুরু হয়েছে থিমপুজোর রীতি। জনপ্রিয়তা ও ভ্রাতৃত্ববোধ, এই দুইয়ের যোগে শুরু হয় এই পুজো।
চলতি বছর এই পুজোর থিম হল ‘ক্ষুধিত পাষাণ’। তবে হয়তো'বা রবীন্দ্র-কাহিনির হুবহু প্রতিফলন নয়। কিছুটা হলেও বোধহয় অন্য রকম।
সঞ্জীত ঘোষের এই সৃষ্টির পিছনে কারুকাজ ও ভাবনায় ছিলেন শিল্পী রজত সেনগুপ্ত।
কী এই ‘ক্ষুধিত পাষাণ’?
মণ্ডপসজ্জা ও প্রতিমা গড়ার মাধ্যমে শিল্পীরা বুঝিয়েছেন যে, এই সমাজের কোনও ঘর হোক কী শ্মশানের নিকষ অন্ধকার কোনও স্থান, মা রয়েছেন সর্বত্র।
এমনকি প্রকৃতির প্রতিটি পাতায় পাতায় রয়েছে মা দুর্গার রোশনাই, তার সর্বত্র অবাধ বিচরণ, সব দিকে রয়েছে তার অবস্থান ও উপস্থিতি। যিনি অবাধ, অপ্রতিরোধ্য, অনন্ত, তিনিই মা দুর্গা। পতিতালয় থেকে কৃষকের ঘর, কিংবা ডোমের বাড়ির কোনও অংশ, তার উপস্থিতি এড়িয়ে যায় না কোনও একটিও স্থল। তিনিই দেবী দুর্গা।
তিনিই মহিষাসুরমর্দিনী, অসুর বিনাশিনী। এই ভাবধারাকেই ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁরা নিজেদের মণ্ডপের মাধ্যমে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।