পুরাণ অনুযায়ী, অসুর হিরণ্যাক্ষরের বংশধর ছিলেন দুর্গম অসুর। এই দুর্গম অসুর প্রবল তপস্যা করে ব্রহ্মার কাছে বর পান যে সে কোনও পুরুষ দ্বারা অবধ্য।
এই বর পাওয়ার পরই দুর্গম অসুর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি দেবতাদের কাছ থেকে স্বর্গ ছিনিয়ে নেন। বাধ্য হয়ে দেবতারা নিজেদের রক্ষার জন্য শিবের দ্বারস্থ হন।
শিবের নির্দেশে দেবী পার্বতী এক উগ্র রূপ ধারণ করেন। তিনি দুর্গম অসুরের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
বিন্ধ্যাচলে ১০ দিন ধরে এক মহাযুদ্ধ চলে।
সেই যুদ্ধে দেবী দুর্গম অসুরের অসংখ্য সৈন্যকে হত্যা করেন। অবশেষে হত্যা করেন দুর্গম অসুরকে।
সংস্কৃত অভিধান ‘শব্দকল্পদ্রুম’ অনুযায়ী, ‘দুর্গং নাশয়তি যা নিত্যং সা দুর্গা বা প্রকীর্তিতা’।
যার বাংলা তর্জমা করলে- যিনি ‘দুর্গ’ নামে অসুরকে হত্যা করেছিলেন, তিনিই ‘দুর্গা’ নামে পরিচিতা।
সেই থেকেই দেবী ‘দুর্গা’ নামে পরিচিত হন।
হিন্দুশাস্ত্রে সংস্কৃতে ‘দুর্গা’ শব্দের অর্থ— ‘দৈত্যনাশার্থবচনো দকারঃ পরিকীর্তিতঃ। উকারো বিঘ্ননাশস্য বাচকো বেদসম্মত। রেফো রোগঘ্নবচনো গশ্চ পাপঘ্নবাচকঃ। ভয়শত্রুঘ্নবচনশ্চাকারঃ পরিকীর্তিত।’
যার বাংলা হল- দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও শত্রুকে যিনি নাশ করেন, তিনিই দুর্গা। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।