মহিষাসুরমর্দিনী মা দুর্গার বাহন হিসেবে সিংহকেই বরাবর দেখে এসেছেন বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু জানেন কি, দেবী দশভূজার বাহন হিসেবে বাঘকেও পুজো করা হয়? আসুন জেনে নিই, কোথায় বাঘের পিঠে চড়েই পূজিত হন দুর্গা।
বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলা থেকে পনেরো কিলোমিটার দূরে হায়াঘাট ব্লক। সেখানকার অতি ক্ষুদ্র এক জনপদ বাউরাম।
কথিত আছে, দেবী দুর্গা বাঘের পিঠে চেপে সারা রাত এই গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন! বহু লোক নাকি খালি চোখে তা দেখেওছেন বলে দাবি করেন।
বাওরাম গ্রাম-সহ আশপাশের অনেক গ্রামের লোকেদেরই দৃঢ় বিশ্বাস, দেবী দুর্গা এই গ্রামেই জন্মেছিলেন।
আর তাই এখানেই দেবী দুর্গা বাগেশ্বরী রূপে পূজিতা হন।
মা দুর্গার মন্দির এখানে কেউ প্রতিষ্ঠা করেনি। দুর্গার থান আবিষ্কার করেন গ্রামবাসীরাই।
গ্রামের এক জায়গায় দুই থেকে তিন ফুট উঁচু একটি পাথর রয়েছে। সেটি ভগবতীর্থ থান নামে বিখ্যাত। তার আশেপাশে ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু পাথর।
কথিত আছে, গ্রামে কারও কারও বাড়ির উঠোনে নিজে থেকেই পাথর এসে পড়ত। কিন্তু কে ফেলত, তা জানা যেত না। এই পাথর গ্রামবাসীরা ভগবতীর থানে ফিরিয়ে দিয়ে আসতেন।
নবরাত্রির নিয়ম মেনে, ভগবতীর থানেই হয় দুর্গাপুজো। গ্রামবাসীরা এই বাগেশ্বরী দুর্গাকে অত্যন্ত জাগ্রত বলে মনে করেন।
বন্যা বিধ্বস্ত, শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা এই ছোট্ট গ্রাম শুধু এই দেবীকে কেন্দ্র করেই নবরাত্রির সময়ে মেতে ওঠে।