পুণে শহরের বিখ্যাত এক মন্দির। সেই ময়ূরেশ্বর মন্দিরের বাতাসে আজও পাক খায় নানা কাহিনি। পুজোর ছুটিতে চাক্ষুষ করে আসবেন নাকি সেই সব গল্পের উৎস?
কিংবদন্তি বলছে, ত্রেতাযুগে লেনাদ্রি নামক স্থানে একটি গুহায় পার্বতীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন গণেশ। তখন বিনায়কের ছিল ছ'টি বাহু। একদিন ঘটনাক্রমে একটি ময়ূরের ডিম তাঁর হাত থেকে পড়ে যায়। তা থেকে একটি ছোট্ট ময়ূর।
ময়ূরটিকে বড় করে তার উপরে চড়ে বসেন গণেশ। সে কারণেই তাঁকে বলা হয় ‘ময়ূরেশ্বর' বা 'মোরেশ্বর'। প্রিয় ময়ূরে চড়েই অসুর বধ করেছিলেন তিনি। তার পরে ভাই কার্তিক বা কার্তিকেয়কে বাহন ময়ূরটি দিয়ে দেন। পরবর্তীতে ওই জায়গাতেই গড়ে ওঠে গণেশ মন্দির। তারই নামকরণ ময়ূরেশ্বরের নামে।
আর একটি মত অনুসারে, ওই এলাকায় ছিল প্রচুর ময়ূর। তাই গ্রামের নাম হয়- 'ময়ূরের গ্রাম'। সেখানকার প্রধান দেবতাকে দেবতাকে মরাঠি ভাষায় বলা হত- 'মোরগান' বা 'মোরেশ্বর'। সেই থেকেই নাকি এই মন্দিরের দেবতার নাম হয় 'ময়ূরেশ্বর'।
কর্মা নদীর তীরে মন্দির। ময়ূরের থেকে গ্রামেরও নাম হয় 'মোরগাঁও'। মন্দির নির্মাণের সঠিক সময় অবশ্য জানা নেই কারও। তবে মারাঠাদের আমলে এই মন্দির সংস্কার হয়। মন্দিরে ছ'ফুট উচ্চতার একটি ইঁদুরের মূর্তি রয়েছে।
স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, গণেশের এই মন্দিরে দর্শন ও পুজো দিলে বিভিন্ন ধরনের বাধাবিঘ্ন দূর হয়। মোরেশ্বর গণেশ মন্দিরে পুজো দিলে সংসার জীবনে লাগে শান্তির পরশ। দেবতার কৃপায় মনের সব আশা পূর্ণ হয়। তাই নিত্য ভিড় লেগেই থাকে মোরেশ্বরের দোরে।
কী ভাবে যাবেন: হাওড়া থেকে ট্রেনে পুণে। পুণে শহর থেকে প্রায় ৬৪ কিলোমিটার দূরে ময়ূরেশ্বর মন্দির। মুম্বই থেকেও যেতে পারেন। সড়কপথে দূরত্ব ২৪০ কিমি। কাছের বিমানবন্দর পুণে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।