আলোর উৎসব দীপাবলি, কিন্তু এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক অন্ধকার দিকের কথাও। দশমহাবিদ্যার প্রথম মহাবিদ্যা হল কালী। দেবী কালীর পদতলে শবের মতো শুয়ে থাকেন শ্মশানবাসী মহাদেব। ধ্যানমন্ত্রে দেবীর রূপ চতুর্ভুজা, এলোকেশী।
এছাড়াও দেবীর নানা রূপ বর্তমান। রক্ষা কালী, শ্যামা কালী, দক্ষিণা কালী, ডাকাত কালী, শ্মশান কালী-এমন নানা রূপেই পূজিত হন দেবী।
তবে কালীর অন্যন্য রূপের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হল শ্মশান কালী। বিভিন্ন শ্মশানঘাটে কালীর যে রূপটির পুজো করা হয়, তা'শ্মশানকালী' নামে পরিচিত। বাংলার প্রায় সব শ্মশানেই শ্মশানকালীর পুজো হয়।
কিন্তু আপনার ঘরের কাছে খাস কলকাতার বুকে কেওড়াতলা মহা শশ্মানের কালীপু জোর কথা কি জানা আছে? এই শশ্মানের আগুন কখনও নেভেনা তাই এই শশ্মান মহাশশ্মানের তকমা পেয়েছে।
একদিকে শ্মশানকালী পুজো হবে আর অপরদিকে চলবে শবদেহের দাহ। কেওড়াতলায় এই পুজো করেন ডোমেরা।
পুজোর নির্দিষ্ট সময়ে একটি মৃতদেহ দাহ করার জন্য এনে রাখা হয়। এমন রেওয়াজ রয়েছে রাজ্যের অন্যপ্রান্তের শ্মশানেও।
জানা যায়, শ্মশানে শব দেহ না আসা পর্যন্ত দেবীর ভোগ নিবেদন করা হয় না।
একদিকে শবদাহ চলছে এবং অন্যদিকে পুজোর মন্ত্র উচ্চারিত হচ্ছে। এই আবহে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় মহাশ্মশানে।
রাজ্যে এমন একাধিক শ্মশান রয়েছে, যেখানে শবদেহ না আসা পর্যন্ত পুজো শুরু হয় না। দক্ষিণ কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানেও এমনটাই রেওয়াজ।