একমাত্র পুষ্কর। সেখানেই পুজো পান ব্রহ্মা।
গোটা বিশ্বে একমাত্র রাজস্থানের এই ছোট্ট শহরেই রয়েছে ব্রহ্মার মন্দির। পাশের মন্দিরে বিরাজ করেন ব্রহ্মা-পত্নী সরস্বতী। মন্দির লাগোয়া পুষ্কর হ্রদ।
আরাবল্লি পর্বতমালার নাগ পর্বত অজমের ও পুষ্করকে পৃথক করেছে। অজমের থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে পুষ্করে এই মন্দির ও হ্রদ পুণ্যার্থীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই স্থানটি আবার ব্রহ্মার নিবাসস্থল হিসেবেও খ্যাত।
পুরাণ অনুসারে, ব্রহ্মাকে সরস্বতী অভিশাপ দিয়েছিলেন, পৃথিবীবাসী তাঁকে ভুলে যাবেন এবং কখনও তাঁর পুজো করবেন না। শেষমেশ অন্যান্য দেবতার প্রার্থনা, অনুনয়ে মন গলে সরস্বতীর। তার পরে জানান, শুধুমাত্র পুষ্করেই ব্রহ্মা পূজিত হবেন। ভক্তদের বিশ্বাস, সেই কারণেই একমাত্র এই মন্দিরে ব্রহ্মার আরাধনা হয়।
বদ্রীনারায়ণ, জগন্নাথ, রামেশ্বরম, দ্বারকা- চার তীর্থস্থানকে একত্রে চার ধাম বলা হয়। কথিত যে, চার ধামের ঘোরার পরে পুষ্কর হ্রদে স্নান না-করা পর্যন্ত এই যাত্রা সম্পূর্ণ হয় না ও এর পুণ্যফলও লাভ করা যায় না। সে কারণে কার্তিক মাসে প্রচুর তীর্থযাত্রী এখানে আসেন। চার ধাম যাত্রার পরে হ্রদে ডুব দিয়ে পুণ্য অর্জনই তাঁদের মূল লক্ষ্য।
অবস্থান/ কীভাবে যাবেন: হাওড়া থেকে ট্রেনে অজমের। সেখান থেকে বাসে বা গাড়িতে পুষ্কর। নিকটবর্তী বিমানবন্দর জয়পুর।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।