ধনতেরস বা ধনত্রয়োদশী। পাঁচ দিনব্যাপী দীপাবলি উৎসবের সূচনা হয় এই দিনেই। এ বছর ধনতেরস পড়েছে ২৯ অক্টোবর। এমনিতে এ দিনটায় সোনা-রূপা বা যে কোনও ধাতু কিনলে নাকি মা ধনলক্ষ্মীর আশীর্বাদ মেলে।
কিন্তু সোনা-রূপার দাম যে আকাশছোঁয়া! তা হলে উপায়? বিশ্বাস বলে, এ দিন ঝাঁটা কিনলেও তুষ্ট হন দেবী লক্ষ্মী।
কিন্তু একটি না একাধিক ঝাঁটা কিনতে হবে? সে-ও তো ভাবার বিষয়। ঝাড়খণ্ডের এক জ্যোতিষী নন্দকিশোর মুদগল এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যত খুশি কিনে ফেললে হবে না। ধনতেরসে ঝাঁটা কেনার সংখ্যার উপরেই নির্ভর করে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ। আর তা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে।
জ্যোতিষীর উপদেশ, বিজোড় সংখ্যায় ঝাঁটা যেন না কেনা হয়। শুধুমাত্র জোড় সংখ্যাতেই ঝাঁটা কেনা উচিত। তা সৌভাগ্য বয়ে আনে বলে মনে করা হয়।
এ ছাড়াও অন্যান্য বিশ্বাস মতে, ধনতেরসে কেউ ঝাঁটা কিনলে তাঁর জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠতে পারে।
এ দেশে ঘর পরিষ্কার রাখতে প্রতিটি পরিবারই নিয়মিত ঝাঁটা ব্যবহার করে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঘরে বসত করেন দেবী লক্ষ্মী। সে জন্যই সম্ভবত ঝাঁটা কেনা ঘিরে এই বিশ্বাস। তবে ধনতেরসে ঝাঁটা কিনতে হলে কিছু টিপস মনে রাখতে হবে।
১. ঘাস বা নারকেল পাতার মতো প্রাকৃতিক ফাইবারের ঝাঁটা বেছে নেবেন।
২. সিন্থেটিক ফাইবারের ঝাঁটা কখনওই বেছে নেবেন না। সেগুলিকে শুভ বলে মনে করা হয় না।
৩. ঘরে আনার আগে ঝাঁটার চারপাশে একটি লাল সুতো বেঁধে দিন। এটি অশুভ আত্মাকে ঘর থেকে বিদায় করে।
ঝাঁটা ছাড়াও লক্ষ্মী, গণেশের ধাতব বা মাটির মূর্তি কেনা সৌভাগ্য বয়ে আনে। ধনতেরসের সন্ধ্যায় বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারের সামনে চারটি মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা হয়। এই প্রদীপদানও একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি হিসাবে বিবেচিত হয়।