প্রাচীন এই শিল্পরীতি সময়ের হাত ধরে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নিয়েছে শৌখিন মানুষের গৃহসজ্জায়। বেশ কয়েক দশক ধরেই ডোকরার ভাস্কর্যে সযত্নে সেজে উঠছে রুচিশীল মানুষের সাধের ঘর।
ঘর সাজানোর সামগ্রী থেকে হার, দুল, বালা বা পায়ের মল- বাঙালি জীবনে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে ডোকরা।
টেবিলে রাখা সুদৃশ্য ফুলদানি হোক বা দেওয়াল জুড়ে সুপ্রাচীন ভাস্কর্য, কিংবা ঠাকুরঘরের দুর্গা বা গণেশমূর্তি– ডোকরার চাহিদা সর্বত্রই।
ওজনে ভারী এবং পিতলের মতো রং হওয়ায় ডোকরার সামগ্রী আপনার অন্দরসজ্জায় এনে দেবে পুরনো স্থাপত্যের স্বাদ।
বাড়ির ড্রয়িং রুমে সবচেয়ে বড় দেওয়ালটি রাখুন ডোকরার একটি প্রাচীন মূর্তির জন্য। বাড়িতে ঢুকে প্রথমেই যার দিকে নজর পড়বে সকলের। এই শো পিস টি শুধুমাত্র ঘরের উজ্জ্বলতা বা সৌন্দর্যই বাড়াবে তা নয়, হয়ে উঠবে আপনার শৌখিন রুচির পরিচায়ক।
ঠাকুর ঘরে বা ড্রয়িং রুমের অন্য প্রান্তে আপনি রাখতে পারেন ডোকরার দুর্গা মূর্তি। শোপিস হিসেবে যা খুব জনপ্রিয়। শারদীয়ায় কাউকে উপহার দিতে পারেন অথবা নিজের জন্যই ঘরে আনতে পারেন একটি ডোকরার দুর্গামূর্তি।
ওজনে ভারী হওয়ার জন্য সাধারণত ডোকরার বাসন কেউ ব্যবহার করে না। আপনার ডাইনিং টেবিলে ডোকরার কাটলারি সেট তাই এক অন্য মাত্রা যোগ করতে পারে। চামচ, ছুরি, কাঁটা চামচ– ইত্যাদি রোজকার ব্যবহারের জিনিসে আনুন ডোকরার ছোঁয়া
আপনার শখের বাড়ির দরজা-জানলায় থাকুক ডোকরার ছোঁয়া। যেমন দরজার হ্যান্ডেল, স্টপার, হ্যাচবোল্ট, জামা কাপড় ঝোলানোর রড ইত্যাদিতে।
বাড়িতে খানিকটা জায়গা থাকলে ডোকরার ভাস্কর্য দিয়ে আর্ট ইনস্টলেশন করা যায়, যা ঘরের সৌন্দর্য বাড়াবে বহু গুণ।
বাড়ির আসবাবপত্র যেমন কফি টেবিলের উপরিভাগ, ডাইনিং টেবিল টপ, ড্রয়িং রুম পার্টিশন, আয়নার ফ্রেম, কিংবা আপনার প্রিয় ফটো ফ্রেম– ডোকরার ব্যবহার ভাল দেখাবে সবেতেই।