বসার ঘরের সেন্টার টেবিলটি একটু বড় এবং চওড়া হলে ভাল।
অন্দরসজ্জায় বসার ঘরের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে এখনকার পাল্টে যাওয়া দুনিয়ায়। করোনা কালের বসার ঘরের অন্দরসজ্জা কেমন ছিল, এ কথা নিশ্চয়ই জানতে চাইবে পরবর্তী প্রজন্ম। ভবিষ্যতে কোনও মহামারি হলে তারাও এ ভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবে তা হলে। তবে সুরক্ষার সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে রুচিবোধের দিকটিও।
সদর দরজার বাইরে শু র্যাক থাকলে সব থেকে সুবিধাজনক হয়। তা হলে বাইরের জুতো ভিতরে নিয়ে আসার দরকার হবে না। প্রবেশ দরজার পাশে একটি শৌচাগার থাকা দরকার। এটিকে আমরা সাধারণত ‘পাউডার টয়লেট’ বলে থাকি।
এ বার বসার ঘরে প্রবেশের কথা। সাধারণত এখনকার ফ্ল্যাটগুলোতে বসার ঘর আর খাবার ঘর একসঙ্গেই থাকে। সঙ্গে যদি ‘এক্সটেন্ডেড ওপেন কিচেন’ থাকে তা হলে তো কথাই নেই। সুতরাং এটা খুব স্বাভাবিক যে বসার ঘর থেকে খাবার টেবিল বা রান্নার জায়গা দৃষ্টিগোচর হয়। এ ক্ষেত্রে সামান্য কিছু ভাবনার অবকাশ আছে। একটি ‘হাফ লেভেল পার্টিশন’ দিয়ে বসার জায়গা থেকে ভিতরের খাবার জায়গায় দৃষ্টি-দূরত্ব তৈরি করা যায়।
আরও পড়ুন: শরতের মিঠে রোদে ঘরে আসুক পুজোর গন্ধ
বসার ঘর খোলামেলা হওয়া দরকার। ক্রস ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকলে খুব ভাল হয়, যাতে হাওয়া চলাচল করতে পারে ঘরের মধ্যে। সোফা সেট ঘরের মাপ অনুযায়ী হওয়া জরুরি। সোফা সেটের পরিবর্তে ‘লো হাইট খাট’ বা চৌকিকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রাখা যেতে পারে। ওই সাজানোর কারণে বাইরে থেকে বোঝাই যাবে না এটা আসলে সামান্য একটা চৌকি। আজকাল অনেকে মেঝেতে গদি পেতেও বসার ব্যবস্থা করেন। যদিও সেটা খুব ক্যাজুয়াল। মেঝেতে গদি পাতার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটা বসার টুল, মোড়া বা চেয়ারের ব্যবস্থা রাখা দরকার। কারণ, সবাই মেঝেতে হাঁটু মুড়ে বসতে পারেন না। কারও শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে।
বসার ঘরের দেওয়ালে বড় অয়েল পেন্টিং কিংবা আলোকচিত্র রাখা যেতে পারে।
বসার ঘরের সেন্টার টেবিলটি একটু বড় এবং চওড়া হলে ভাল। যাতে দরকার হলে সেখানে বসে খেয়ে নেওয়া যায়। উচ্চতায় সোফার সিটের থেকে বেশি নয়। সেন্টার টেবিলের ভিতরের দিকগুলো কাজে লাগানো যেতে পারে। বইয়ের তাক করতে পারলে খুব ভাল হয়। অনেকে ভারী করতে চান না। তবে এখনকার এই কম জায়গায় এটা করা যেতেই পারে।
সোফার দু’পাশে বা দেওয়ালের দিকে ছোট সাইড টেবিল রাখলে ভাল। সাইড টেবিলের উচ্চতা সেন্টার টেবিলের উচ্চতার থেকে একটু বেশি হবে। সাইড টেবিলে ড্রয়ার রাখা যাতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘ওয়ার্ম’ কিংবা ‘কুল লাইট’, ঘরে এ বার শরতের রোশনাই
বসার ঘর, সোফা সেট, চেয়ার নিয়মিত স্যানিটাইজ করা উচিত। বিশেষ করে বাইরে থেকে কোনও অতিথি এলে তাঁদের আসার আগে এবং পরে স্যানিটাইজ করা দরকার।
বসার ঘরে গাছ রাখা যেতে পারে। ‘ইন্ডোর প্ল্যান্ট’ বিশেষ করে দেখতেও চমৎকার লাগে। এ ছাড়াও কিছু সব্জি বা ফুলের গাছ কিছু ক্ষণ এনে রাখা যেতে পারে। টবের নীচে প্লেট দিয়ে রাখতে হবে, যাতে জল মেঝেতে পড়তে না পারে।
আজকাল বদলে যাওয়া সময়ে আমরা খুব বেশি বাইরে যেতে পারছি না। তাই প্রকৃতির সংস্পর্শ খুঁজি সবাই। বসার ঘরের দেওয়ালে বড় অয়েল পেন্টিং কিংবা আলোকচিত্র রাখা যেতে পারে, যার বিষয় হবে প্রকৃতি। এ ছাড়াও ‘কাস্টমাইজড ওয়াল পেপার’ বা ‘পেন্টিং’ রাখা যেতে পারে, প্রকৃতিকে মাথায় রেখে। তবেই রুচিবোধের প্রকাশ পাবে অন্দরসজ্জায়।
আরও পড়ুন: এই সব উপায়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন বইঘর