বাড়ি বা ফ্ল্যাটে জায়গা যথেষ্ট থাকলে অতিরিক্ত একটি ঘর অতিথিদের জন্য বানিয়ে রাখাই যায়। পশ্চিমী দুনিয়া থেকে ধার করা এই কনসেপ্ট কিন্তু এ দেশের মধ্যবিত্তের জগতেও ঢুকে গিয়েছে সহজে। সাধারণত এই ঘর অতিথিরা এলে তবেই ব্যবহৃত হয়। তবে অন্য সময় এই ঘর নিজেরাও ব্যবহার করা যায়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে এমন ভাবে ব্যবহার করুন, যাতে অতিথি এসে কয়েক দিন থাকলেও সে ঘরে রাখা বাড়ির অন্য মানুষদের কোনও জিনিসের সঙ্গে অতিথির নিত্য দিনের যোগাযোগ না থাকে।
অতিথিদের জন্য ঘরে কী কী থাকা দরকার বা কী কী না রাখলেও চলে সেই ধারণা স্পষ্ট না থাকলে এই ঘর সাজানোও সম্ভব নয়। বরং থাকুক প্রমাণ মাপের খাট ও বেডসাইড টেবিল। খুব বড় না হলেও ওয়ার্ডরোব বা আলমারি মোটামুটি মাপের রাখলেই চলবে। ওয়ার্ডরোবের নীচের দিকটা ফাঁকা রাখবেন, কোনও তাকও রাখবেন না। হোটেলের মতো অনেকটা। অতিথির নিয়ে আসা নানা সরঞ্জাম ওয়ার্ডরোবের মধ্যে রেখে দেওয়া যেতেই পারে।
অতিথির জন্যে যে ঘর, সেখানে ড্রেসিং ইউনিট রাখা আবশ্যিক। সেটা জায়গা থাকলে খাটের একপাশেও হতে পারে। মোটামুটি আড়াই ফুটের মতো জায়গা থাকলেই অতিথির ঘরে ড্রেসিংয়ের জায়গা বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। অতিথির জন্য ঘরে একটা টিভি থাকলে বেশ হয়। খাটের বিপরীত দেওয়ালে জায়গা না থাকলে হ্যাং করে, আর জায়গা থাকলে টিভির সামনে একটা স্লিক ইউনিটও বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। ঘরে বেশ কিছু প্লাগ পয়েন্ট যেন থাকে। একটা ইলেকট্রিক কেটল আর তার সঙ্গে চা বানাবার সরঞ্জাম রেখে দেওয়াটা বাঞ্ছনীয়। অতিথি বাড়িতেই খাবেন, তবুও কখনও যদি ইচ্ছে হয়, তা হলে নিজেও যেন বানিয়ে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: স্টোরেজ বাদ দিলে ঘরকে পরিষ্কার রাখা কঠিন, নজর দিন সে দিকে
অতিথির ঘরে সাধারণত ফ্রিজের দরকার হয় না,তবু একান্তই যদি রাখার ইচ্ছে হয়, একটা একেবারে ছোট মাপের ফ্রিজ রেখে দিতে পারেন। অতিথিদের ভিন্ন রুচি, তাই আসবাবপত্র ডার্ক শেডের আর ঘরের রং মূলত অফ হোয়াইট হওয়াটাই ভাল, এই কালার কম্বিনেশানে ঘরের সজ্জা রুচিশীল লাগে বেশি।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই সন্তানের ঘরকে সাজিয়ে তুলুন এ ভাবে
খাটের পিছনের দেওয়ালে ওয়ালপেপার, কিংবা ঘরে দু’-একটা ল্যান্ডস্কেপ রাখা যেতে পারে। আলো খুব বেশি না হলেও চলে, তবে পড়ার জায়গায় যেন যথেষ্ট পরিমাণে আলো থাকে সেটা দেখবেন। ভারতীয়দের কাছে অতিথি আরাধ্যের মত। সুতরাং সুন্দর এবং রুচিসম্মত করে সাজিতে তুলুন গেস্টরুম।