বাড়িতেও জিম তৈরি করাই যায়
আজকাল নিত্য যতই জাঙ্ক ফুড খাই না কেন, দিনের শেষে কিন্তু সেই ক্যালোরি কমানোর চিন্তা মাথার মধ্যে ঘোরে। মাঠে গিয়ে দৌড়াদৌড়ি, সাঁতার, ফুটবল খেলা কিংবা ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম এ সব করার সময়টাও কত দিন দেওয়া হয়ে ওঠে না! ওয়ার্ক আউট করতে গেলেও ভরসা সেই জিম! কিন্তু সে টুকু করারও সময় খুব একটা কি পাওয়া যায়?
অনেকের আবার বাড়ির কাছে জিমও নেই। অগত্যা হাঁটাহাঁটি ও খুচখাচ ব্যায়ামেই বরসা রাখতে হচ্ছে। বাড়ির বা ফ্ল্যাটের মধ্যেই আজকাল জিম বানিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। জায়গার অভাব না থাকলে এটা সম্ভব। তবে যদি একটু এদিক ওদিক করে অল্প কিছুটা জায়গার ব্যবস্থা করে নেওয়া যায়, তা হলে একটা ট্রেড মিল অন্তত রাখা যায়। সামান্য মাথা খাটালে ছোট বাড়িতেও ছোট্ট একটা মাল্টিজিম তৈরি করে নেওয়াই যায়।
ঘর ছোট হলে মেশিনপত্র রেখে হাত-পা ছুঁড়ে ব্যয়াম করাটা বেশ কষ্টকর। মাল্টিজিম বা ওয়ার্ক আউটের জায়গা হিসেবে অন্তত পক্ষে দেড়শো স্কোয়ার ফুটের খোলামেলা একটা ঘর হলেই ভাল। সেই ঘরের একটি দেওয়াল ফাঁকা রাখুন,অর্থাৎ কোনও দরজা-জানলা থাকবে না। সেই দেওয়ালটি জুড়ে আয়না লাগিয়ে নিতে হবে। এতে ওয়ার্ক আউটের সময় বেশ সুবিধা হবে। অন্তত ঘরের স্কার্টিং লেভেল থেকে দরজার উচ্চতা পর্যন্ত আয়না লাগিয়ে নেওয়াই যায়।
আরও পড়ুন: কম খরচে ভোল বদলান রান্নাঘরের, রইল সহজ উপায়
এই ঘরে শীতাতপনিয়ন্ত্রক যন্ত্র বসিয়ে লাভ নেই। এসি চালিয়ে জিম করলে ঘাম ঝরে কম, কাজের কাজও হয় না। বরং এমন ভাবে জানালার ক্রস ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা যেন থাকে, যাতে হাওয়া চলাচলের অসুবিধা না হয়। এসে থাকছে না বলেই খোলামেলা রাখুন ঘর। ঠিকমতো যেন বাতাস চলাফেরা করতে পারে ঘরের মধ্যে। বদ্ধ ঘরে ব্যয়াম, মন এবং স্বাস্থ্য দুইয়ের পক্ষেই বেশ ক্ষতিকর।
আরও পড়ুন: পকেটসই দামে আলোর কারসাজিতেই রূপ ফিরবে ঘরের!
বাড়িতে ছাদে যদি শেড থাকে কিংবা বেশ চওড়া এবং আচ্ছাদন-যুক্ত বারান্দা থাকেল তা হলেও কিন্তু ছোট্ট জিম বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায়। অনেক বেশি যন্ত্রপাতি না বসিয়ে বরং খুব প্রয়োজনীয় দু’-তিনটে যন্ত্রপাতি কিনুন। এ ছাড়াও ছাদ কিংবা বারান্দা বেশ বড় এবং লম্বা-চওড়া হলে, জগিং ট্র্যাক বা সিন্থেটিক ঘাস বসিয়ে নেওয়া যেতে পারে মেঝেতে। সিন্থেটিক ঘাস মূলত শৌখিন। তবে খুব ভাল কোয়ালিটির সিন্থেটিক ঘাসে হাঁটা, হালকা ব্যায়াম, কিংবা অল্প দৌড়াদৌড়িও চলতে পারে।