প্রবেশপথের দরজাই রুচির কথা বলে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
শুরুটা সব কিছুরই ভাল হওয়া দরকার।অন্তত ভাল হওয়ার জন্য আমরা চেষ্টাটা চালিয়ে যেতেই পারি। জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে এ দর্শন যথাযথ। কথায় আছে না, ভিত যত শক্ত হবে বাড়ি এবং চরিত্র দৃঢ় হবে।
এই ভিত হল শুরুর কথা। সূচনা সংগীতও বলা যেতে পারে। অন্দরসজ্জার ক্ষেত্রেও তাই। একেবারে প্রবেশপথের দরজাই রুচির পরিচায়ক। সে কারনেই যেমন বসার ঘরটাকে একেবারে অন্যরকম ভাবে সাজানোর চেষ্টা করা হয়, প্রবেশ পথের দরজাটিকেও তাই।
ফ্ল্যাট এবং বাড়ি, প্রবেশপথের দরজার ক্ষেত্রে হেরফের কাজ করে। বেশির ভাগ ফ্ল্যাটের বাইরেই যেহেতু কড়া সিকিউরিটি থাকে তাই শুধুমাত্র দরজা দিলেই কাজ চলে যায়। যদিও কেউ কেউ অতিরিক্ত সচেতন হয়ে কোল্যাপসেবল গেটও লাগান ফ্ল্যাটের দরজার ঠিক বাইরেটায়।
আরও পড়ুন: অন্দরসজ্জায় নতুন থিম আনুন, বাড়ি হোক নতুনের মতো
কাঠের দরজার পালিশ বদলে দেয় অন্দরসজ্জার রূপ। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
আবার যাঁদের নিজস্ব বাড়ি, তাঁরা দরজাটাকে খুব সুরক্ষিত রাখতে চান। সে ক্ষেত্রে দরকার ভাল সেগুনকাঠের দরজা এবং বাইরেটা লোহার গেট দিয়ে রাখা।
প্রবেশপথের দরজা হিসেবে কাঠের দরজা ব্যবহার করলে সাধারণত পালিশ করেই করা ভাল।সেগুন কাঠে ন্যাচারাল পালিশ মানানসই। কারণ সেগুন কাঠের নিজস্ব একটা চরিত্র আছে, কাঠের গায়ে অসংখ্য শিরা আছে। যেগুলো ন্যাচারাল পালিশ করলে বাইরে থেকে দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। আর একটু ডার্ক পালিশ হয়ে গেলেই আর শিরা, উপশিরা দেখা যায় না।
ফ্ল্যাটের প্রবেশপথের দরজা লাগানোর সময় অনেকগুলো বিকল্প আপনার হাতে আছে। তবে শুরুতেই ইমারতি ব্যবসায়ীকে জানাতে হবে যে তাঁর দেওয়া দরজা আপনি নেবেন না, এবং তার পরিবর্তে আর্থিক বোঝাপড়া আপনাদের তরফে থাকবে।এ বার আপনি ভাল দেখে দরজা লাগিয়ে নিন প্রবেশপথে।
আরও পড়ুন: মনের মতো বেসিন লাগান, হেসে উঠবে বাড়ি
কাঠের দরজা ছাড়াও ফ্ল্যাশ ডোর এখন খুব ভাল বাছাই। বেশ মোটা ফ্ল্যাশডোর কিনে নিতে পারেন, তার পর তার উপরে ছয় মিলিমিটারের প্লাই দিয়ে পছন্দমতো নকশা বানিয়ে নিন বাড়িতে কাঠের মিস্ত্রি দিয়ে। একটু উপর-নীচ হলে ভালই লাগবে। একটা ত্রিমাত্রিক ভাব তৈরি তার পর ফ্ল্যাশ ডোরের উপরে ল্যামিনেশন লাগাবেন রং পছন্দ করে। উপর-নীচে দু’রকম রংয়ের ল্যামিনেশন লাগালে দেখতেও বেশ ভাল লাগে।
অ্যালুমিনিয়ামের দরজা ঘরকে দেবে নতুন সাজ। ছবি: শাটারস্টক।
এ ছাড়াও ফ্ল্যাশ ডোরের প্রবেশ পথ হলে নানা ভাবে ফিনিশ করা যায়। যদিও একটু খরচ সাপেক্ষ ব্যাপারস্যাপার, তবু ভিনিয়ার ব্যবহার করলে দরজার দৃশ্যপটটাই বদলে যাবে অনেকটা। তা ছাড়াও ফ্ল্যাশ ডোরে হোয়াইট শিরার লাগিয়ে পেন্ট দিয়ে ফিনিশ করা যেতে পারে। হোয়াইট শিরারে ফিনিশ করলে বেশ মসৃন দেখায়। এবং রং করার পর দরজার উপরে যদি পলিমার কোটিং যদি দেওয়া যায়, তা হলে এক কথায় খুবই সুন্দর লাগবে। পলিমার কোটিং করলে দরজার উপরে নানা রকম ফিনিশ করা যেমন কোনও কাপড় বিছিয়ে তার উপর পালিশ করলে দরজাটা দেখতে সম্পূর্ণ বদলে ফেলা যায়।
অন্য একরকম প্ল্যান দিই। অ্যালুমিনিয়াম শিট ফ্ল্যাশ ডোরের উপরে খুব যত্ন করে লাগাতে দরজার নীচ বা উপরটা যেন অ্যালুমিনিয়ামে ঢাকা না থাকে। এ বার সেই অ্যালুমিনিয়াম শিটের উপরে সুন্দর করে মোটিভ খোদাই করে,তার উপরে অ্যাক্রেলিক কালার দিয়ে ফিনিশ করলে খুবই সুন্দর লাগে দেখতে। যদিও এ কাজটি এক জন শিল্পী খুব ভাল করতে পারবেন। তেমন ইচ্ছা হলে যোগাযোগ করুন এমন শিল্পীর সঙ্গে।