‘ডেনা’ হোক বা ‘আমফান’, অথবা যে কোনও ঝড়ের মরসুমেই রাস্তায় বেরোলে বিপদের ঝুঁকি থেকেই যায়। তার উপর ঋতুবদলের সময়ে এ রকম একটানা বৃষ্টি, ভিজে গেলে জ্বর আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই এমন আবহাওয়ায় নিজের সুরক্ষার জন্য সর্বদা ছাতা নিয়েই বাইরে বেরোবেন।
এখানেই প্রশ্ন ওঠে, ঝোড়ো হাওয়া থেকে কি আপনার ছাতা আপনাকে বাঁচাতে পারে সব সময়? কখনও যায় উল্টে, কখনও যায় পাল্টে, কখনও বা ভেঙে গিয়ে ডাঁটি বেরিয়ে যায়। তখন আর বৃষ্টির ছাঁট থেকে উদ্ধার পাওয়া সম্ভব নয়।
আর এখানেই দরকার অ্যান্টি-টার্নওভার বা অ্যান্টি-রোলওভার ছাতা। অ্যান্টি-টার্নওভার ছাতা এমন এক প্রকার ছাতা, যা এটি বেঁকবেও না, উল্টাবেও না। আকস্মিক দমকা হাওয়া সহ্য করার ক্ষমতা রাখে এই ছাতা।
পারাপ্লুই দে শেবোর্গ সংস্থার মতো ফরাসি ছাতা নির্মাতারা তাদের অ্যান্টি-টার্নওভার ছাতার জন্য শক্ত ধাতু ব্যবহার করে। চরম পরিস্থিতিতে এই ছাতা পরীক্ষাও করে নেয়। সাধারণত ফোল্ডিং ছাতার চেয়ে পুরনো দিনের লম্বা ছাতার জোর বেশি।
অন্যান্য ছাতার তুলনায়, ল’অ্যান্টিবোররাস্ক ছাতার সুবিধা হল এটি সব পরিস্থিতিতে মেলে ধরা যায়। বৃষ্টির সময়ে এই ছাতা কেবল এক জন নয়, দু’জনকে সুরক্ষা দিতে পারে।
স্টর্ম আমব্রেলা এক ধরনের ছাতা যেগুলি ঝড়ের থেকে আপনাকে সুরক্ষা দেয়। শক্তিশালী দমকা হাওয়া এবং আকস্মিক বৃষ্টিপাতের মুখেও স্টর্ম আমব্রেলা অক্ষত থাকে। পারাপ্লুই দে শেবোর্গ-এর এই ছাতা ১৫৫ কিমি/ঘণ্টা বেগে বাতাসকেও সহ্য করতে পারে।
পারাপ্লুই দে শেবোর্গ এমন সব ছাতা তৈরি করে যা চরম আবহাওয়া সহ্য করতে পারে। এখানে কয়েকটি মডেলের নাম দেওয়া হল
ল’অ্যান্টিবোররাস্ক বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ছাতা। একে তো হস্তনির্মিত। বায়ু টানেলে নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে এই ছাতা। দেখা গিয়েছে, ১৫৫ কিমি/ঘণ্টা বেগে বয়ে যাওয়া হাওয়াকে সহ্য করে নিতে পারে এই ছাতা।
লে স্পোর্ট: আধুনিক নকশার কাজ করা শক্তিশালী ছাতা এটি। অ্যান্টিবোররাস্কের মতো, উইন্ড-টানেলে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ৪০ কিমি/ঘণ্টা বেগে বাতাস বইলেও এই ছাতার উপরে প্রভাব পড়বে না।
ঝড়ের জন্য উপযুক্ত আরও তিনটি ছাতা রয়েছে। দ্য প্যালেস, দ্য গল্ফ এবং দ্য পেব্রোক। পারাপ্লুই দে শেবোর্গ-এ তৈরি এই ছাতাগুলি ১৩৮ কিমি/ঘণ্টা বেগে বাতাসের ঝাপটা সামলে নিতে পারে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ