ত্বকে কালো কালো দাগ! কিছুতেই যাচ্ছে না। বেশি ভাববেন না। অল্প খরচে আজকাল নানা উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। বললেন কসমেটোলজিস্ট সায়ন্তন দাস।
১. আধুনিক ত্বকে কালো দাগ/ সান ট্যান দূর করার চিকিৎসার খরচ ভারতে তিন হাজার থেকে সাত হাজার টাকার মতো পড়ে। আসলে কত বড় জায়গা জুড়ে ব্যাপারটা হয়েছে, ক্ষত কতটা গভীর, চিকিৎসা কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত এবং কতটা নাম করা, ডাক্তারের কতখানি অভিজ্ঞতা, কী চিকিৎসা প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে, এর উপর নির্ভর করে খরচ কম বেশি হতে পারে।
২ নামকরা পার্লারে বিভিন্ন ফেস প্যাক দিয়ে ট্যানিঙের সমস্যা সারিয়ে তোলা হয়। খরচ পড়ে দু’রকম। মুখের জন্য এক হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকার মতো। হাত বা পায়ের জন্য সাতশো থেকে দেড় হাজার টাকার মতো।
৩ ব্র্যান্ড এবং উপাদানের উপর নির্ভর করে দোকানে পাওয়া ক্রিম বা লোশনের দাম সাধারণত একশো থেকে দু’হাজার টাকার মধ্যে পড়ে।
ত্বকের কালো দাগ বা সান ট্যান দূর করার চিকিৎসায় কত সময় লাগবে?
কত সময় লাগবে তা নির্ভর করে কী পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হচ্ছে এবং কোন জায়গার কত খানি জুড়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে, তার উপর।
এখানে রসায়নিক পিল বা কেমিক্যাল পিল ব্যবহার করা হয়। এই ব্যবহারের ১ – ২টি সেশনের পর ত্বকের ফারাক চোখে পড়ে। এখানে একটি কথা, চর্ম বিশেষজ্ঞরা সাধারণত মুখের কালো দাগের জন্য কেমিক্যাল পিল করেন এবং পুরো ফল পেতে ৪-৬টি সেশনের পরামর্শ দেন।
২. লেজার টোনিং –
লেজার টোনিং প্রয়োগ করার পরেই ট্যান বেশ কিছুটা কমে যায়। দেহের কোন এটি প্রয়োগ হচ্ছে, তার উপর অবশ্য বিষয়টি নির্ভর করে। ৪ – ৬টি সেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
৩. মাইক্রোডার্মাব্রেশন –
মাইক্রোডার্মাব্রেশন চিকিৎসার ভাল ফল পেতে ৪ – ৬টি সেশন লাগতে পারে। সান ট্যানিং এড়াতে আপনি নিম্নলিখিত জিনিসগুলি করতে পারেন:
এসপিএফ ৩০-এর উপরে কোনও সানস্ক্রিন লোশন ৩ ঘন্টা অন্তর লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি বাইরে বেরোনোর ২০-৩০ মিনিট আগে লাগাতে হয়। কিন্তু সমস্যা থাকলে প্রখর রোদের সময় বাইরে বেরনো এড়িয়ে চলাই উচিত।
ত্বককে ট্যান থেকে রক্ষা করতে জামাকাপড় ইত্যাদি দিয়ে ঢেকে রাখুন। যেমন, চওড়া কানাওয়ালা টুপি, রোদচশমা, ওড়না বা দোপাট্টা ইত্যাদি দিয়ে নিজেকে রোদ থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।