ভূতচতুর্দশীতে ভূতের সিনেমা দেখবেন না, তা-ও কী হয়! তবে, বাংলা ছবির জগতে ভূতেদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ছবির তালিকাও বেশ দীর্ঘ। কী ভাবছেন? আজ থেকেই দেখা শুরু করুন বরং!
ভূত বলতেই সবার আগে মনে পড়ে যায় ‘ভূতের রাজা’র কথাই। বড় পর্দায় ভূতের রাজার সঙ্গে পরিচয় যাঁর হাত ধরে, তিনি বঙ্গজীবনের চিরস্থায়ী অঙ্গ। সত্যজিৎ রায়!
বছর ১২ আগে অনীক দত্তের হাত ধরে জানা হয়ে গিয়েছিল ভূতেদেরও ভবিষ্যৎ হয়! এক দশক পেরিয়ে গেলেও দর্শকদের কাছে এ ছবির আমেজ পুরনো হবে না কখনও।
গা ছমছমে ভূতের ছবি পছন্দ করেন? দেখতে পারেন সন্দীপ রায়ের ছবি ‘যেখানে ভূতের ভয়’। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, মৌসুমী ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে আবীর চট্টোপাধ্যায়, ভাস্বর চক্রবর্তী, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সকলেরই অভিনয় আপনার উত্তেজনা ধরে রাখতে বাধ্য।
২০১৩ সালে মুক্তি পায় ‘গয়নার বাক্স’। হাস্যরসের মোড়কে টানটান উত্তেজনা এবং রহস্যকে এ ছবিতে নিপুণ ভাবে এক সুতোয় বেঁধেছিলেন অপর্ণা সেন। সেই সঙ্গে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট। এক দশক আগে দর্শকমহলে বেশ জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছিল এই ছবি।
২০১৭ সালে মুক্তি পায় ‘সব ভূতুড়ে’ ছবিটি। ভয় এবং রহস্যে রোমাঞ্চ জাগিয়ে তুলতে পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত সফল হয়েছিল না ব্যর্থ, তার উত্তর তো আপনিই দেবেন। সময় করে দেখে ফেলুন ছবিটি।
‘ভূত চতুর্দশী’ ছবিতে একটি তথ্যচিত্রের শুটিং করতে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির দিকে রওনা হয় চার বন্ধু৷ এই মজার রোড ট্রিপের পরিণতি কী হবে শেষ পর্যন্ত, দেখবেন নাকি? ভয় পাবেন না তো?
এ ছবিতে তরুলতা নামের এক তরুণী খুন হওয়ার পরে তাঁর মরদেহ মেলে এক পুকুরে। পরে সেখানেই জলমগ্ন হয়ে মৃত্যু হয় একের পর এক কিশোরের। কিন্তু পুকুরে কি আদৌ রয়েছে ‘তরুলতার ভূত’? জানতে হলে দেখেই ফেলুন বরং!
বল্লভপুরের বর্তমান বংশধর রাজা ভূপতি রায় সর্বস্বান্ত হওয়ার পর কলকাতার ব্যবসায়ী, হালদার মশাইকে সাতমহলা ভগ্নপ্রায় রাজপ্রাসাদ বিক্রি করতে চাওয়া নিয়ে ভূপতির লড়াই এ ছবির মূল উপজীব্য। পূর্বপুরুষের ভূতেদের কথা কী ভাবে আর ভুলে থাকা যায়? দেখে ফেলতেই পারেন ‘বল্লভপুরের রূপকথা’। বেশ লাগবে।
ভূতেদের নিয়ে যে নোনতা-মিষ্টি স্বাদের গল্প বোনা যায়, তা তো স্বয়ং শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় দেখিয়েছিলেনই। কিছুটা তেমনই স্বাদ মিলেছিল সৌকর্য ঘোষালের ‘ভূতপরী’ ছবিতে। দেখে ফেলতে পারেন। কথা দিচ্ছি, মন্দ লাগবে না।