চুল হোক ঘন ও উজ্জ্বল
‘শাঁখা শাড়ি কেশ/ তিন নারীর বেশ’ — চুল নিয়ে এই ধরনের বহু প্রবাদ রয়েছে বাংলায়। কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর কবিতায় বলেছেন ‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা’। বলা বাহুল্য, চুল নিয়ে বাঙালির এই মাতামাতি যেন চিরকালের। সৃষ্টির আদি কাল থেকেই চুল নারী ও পুরুষ উভয়েরই অলঙ্কার স্বরূপ। সেই কারণেই শুধু নারীরাই নয়, পুরুষরাও চুলের যত্ন নিতে কিছু কম যান না।
রেশমি ঘন কালো চুল সবারই স্বপ্ন। কিন্তু স্বপ্ন কি আর সব সময় সত্যি হয়? বাইরের দূষণ, ধুলো-বালি, ঘাম, ইত্যাদি চুলের প্রভূত ক্ষতি করে। সেই ক্ষতি এড়িয়ে ঠিক পুজোর আগে উজ্জ্বল, ঘন চুল পেতে মেনে চলতে পারেন এই কয়েকটি ঘরোয়া টিপস।
চুল হোক রেশমের মতো মোলায়ম
বারবার চুল আঁচড়ানো বন্ধ করুন:
বারবার চুল আঁচড়ালে চুলেরই ক্ষতি হয়। এতে চুলের ডগায় চিড় ধরে। ফলে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং চুল উঠে যেতে পারে। চেষ্টা করুন চুল কম আঁচড়ানোর এবং প্রয়োজনে তেল ব্যবহার করুন।
শ্যাম্পু কেনার সময় সচেতন হন:
শ্যাম্পু কেনার সময় দেখে নিন, সেই শ্যাম্পুতে যেন সোডিয়াম সালফেটের মতো রাসায়নিক না থাকে। এতে চুলের ভাল হওয়ার বদলে ক্ষতিই হয়। এক দিন অন্তর এক দিন শ্যাম্পু করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে শ্যাম্পু করার আগের দিন মাথায় ভাল করে তেল মাসাজ করে নিন।
পেঁয়াজের রস:
পেঁয়াজের রস চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারি। পেঁয়াজ থেঁতো করে, রস বার করে তা চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। তার পরে প্রায় ৪০ মিনিট রেখে ভাল করে মাথা ধুয়ে ফেলুন। পেঁয়াজের রস চুল ঝরে পড়া অনেকটা রোধ করে।
চুল ঢেকে রাখুন:
রাস্তায় বের হলে চুলের যত্ন নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। চেষ্টা করুন যাতে চুলে ধুলো কম লাগে। রাস্তায় বের হলে একটি ওড়না বা রুমাল দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে পারেন।
সিরাম ও কন্ডিশনারের ব্যবহার:
শ্যাম্পু করার পরে ভালভাবে চুল ধুয়ে তার পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চেষ্টা করুন চুলে গরম ভাপ কম প্রয়োগ করার। চুলকে গরম থেকে বাঁচাতে চুলে হিট প্রোটেকটেড কন্ডিশনারও ব্যবহার করতে পারেন।
মনে রাখবেন, এত কিছুর পরেও চুলের স্বাস্থ্য নির্ভর করে শারীরিক এবং মানসিক প্রশান্তির উপরে। তাই সুস্থ থাকুন। স্বাভাবিক নিয়মে পরিমিত জীবনযাপন করুন। চুলের কোনও সমস্যা দেখা দিলে, ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের অংশ।