অন্নকে মা লক্ষ্মী হিসেবে ধরা হয়। তাই অন্নের সঙ্গে কোনও রকম ছেলেখেলা মা লক্ষ্মী পছন্দ করেন না বলেই ধরা হয়। তাই খাবার তৈরি থেকে শুরু করে খাওয়া পর্যন্ত কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, তা বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়েছে। এক নজরে দেখে নিন নিয়মগুলি।
- রান্নাঘরে জলের পাত্রের কাছে একটি প্রদীপ জ্বালানো থাকলে মা লক্ষ্মী সহায় থাকেন বলে মনে করে বাস্তুশাস্ত্র।
- খাবার খাওয়ার পর একই বাসনে হাত না ধোয়ার কথা বলছে বাস্তুশাস্ত্র। এতে মা লক্ষ্মী অসন্তুষ্ট হন বলেই মনে করা হয়।
- রান্না ঘর সব সময়ে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখাই শ্রেয়। রান্না ঘরে এঁটো বাসন না রাখাই ভাল।
- দক্ষিণ দিক করে নয়, উত্তর-পূর্ব দিক করে খাবার খাওয়া ভাল বলে মনে করে বাস্তুশাস্ত্র।
- বাস্তুতে বলা হয়েছে, প্রতিদিন স্নান করে উঠে খাবার খাওয়ার আগে প্রথমে গরুকে রুটি খাওয়ালে এবং শেষে কুকুরকে রুটি খাওয়ালে বাড়িতে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকবে।
- খাবার নষ্ট করা একেবারেই উচিত নয়। এতে মা লক্ষ্মী ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তাই খাবার পাতে প্রথমে যতটা খেতে পারা যাবে, ততটাই খাবার নেওয়া উচিত। একইসঙ্গে, দরিদ্রদের খাবার দান করার কথাও বলছে বাস্তুশাত্র।
এই সবক'টি নিয়মই বাস্তুশাস্ত্র অনুয়ায়ী। আপনি যদি এতে বিশ্বাসী হন, তা হলে মেনে চলতে পারেন এই নিয়মগুলি।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের অংশ।