দুর্গাপুজো মানেই বিধিনিষেধ ভুলে চুটিয়ে খাওয়াদাওয়া। মহালয়া থেকে ভাইফোঁটা টানা রান্নাঘর জমজমাট। কিন্তু এই ভরপুর পেটপুজোর ঠেলায় বাসনপত্রের অবস্থাও যে সঙ্গীন হয়ে ওঠে!
আপনিও কি তেলমশলার বসে যাওয়া দাগ তুলতে কাহিল হয়ে পড়েন প্রতি বার? সঙ্গে পুরনো খাবারের ছিটেফোঁটা থেকে জীবাণু সংক্রমণের দুশ্চিন্তাও তো একেবারে ফেলে দেওয়া যায় না! তা হলে উপায়? দুর্গাপুজোর পরে কালীপুজোটাও যাতে বাসন মেজে মেজে শেষ না হয়ে যায়, তার জন্য রইল কিছু ঘরোয়া টোটকার সন্ধান।
জলেই দাগ জলাঞ্জলি: অধিকাংশ মানুষ যে ভুলটি করে থাকেন, তা হল রান্না-খাওয়ার পর বাসন জমিয়ে রেখে পরে সব একসঙ্গে মাজা। দীর্ঘ সময় ফেলে রাখার ফলে তেল, মশলা ও খাবারের দাগ জমে শক্ত হয়ে যায়। সেই দাগ তোলার পরিশ্রমও যেমন, দাগ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রবল। এই সমস্যা এড়াতে কাজ মিটলে বাসন মাজার আগে অবধি অপরিষ্কার বাসন জলে ডুবিয়ে রাখুন।
লেবুর রসে কামাল: রোজকার বাসন মাজার সাবান বা তরল সাবানের সঙ্গে মিশিয়ে দিন কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। এই মিশ্রণটি দিয়ে বাসন মাজা হলে নোংরা বাসন ঝকঝকে হয়ে উঠবে অল্প পরিশ্রমেই।
বেকিং সোডায় বাজিমাত: লেবুর রসের মতো এটিও বাসন পরিষ্কার রাখার এক চমৎকার উপকরণ। সামান্য বেকিং সোডা অপরিষ্কার বাসনের উপরে ঘষে নিন। তার উপরে সাবান দিয়ে ঘষলেই দাগ উঠে আসবে অনায়াসে।
ভিনিগারের জাদু: ভিনিগারের কাজও প্রায় লেবুর রসের মতোই। তবে বাড়তি সুবিধা হল- এটি শুধু বাসন পরিষ্কার রাখে তাই নয়, জীবাণুনাশক হিসেবেও এর তুলনা নেই।
তেল-নুনে ভরসা: খাবারের সাধারণ দাগ তুলতে সবথেকে সহজ টোটকা নুন ও তেল। 'বিষে বিষে বিষক্ষয়' -এর মতো একটি বাটিতে নুন ও যে কোনও তেল মিশিয়ে বাসন মাজার আগে তার উপরে সেই মিশ্রণ বুলিয়ে নিন। এর পরে সাবান দিলেই সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত দাগ উঠে আসবে।
কালীপুজো-দীপাবলির আনন্দ যেন বাসন মাজার ঝক্কিতে ভেস্তে না যায়। আস্থা রাখুন টোটকায়। খাওয়াদাওয়ার লাগাম ভুলে আনন্দে মেতে উঠুন পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে।